জেলা 

নদীয়ার বাড়িতে পৌঁছালো শহীদ জওয়ান ঝন্টু শেখের কফিনবন্দি দেহ! শোকে মুহ্যমান সমগ্র জেলা

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নদিয়ার বাড়িতে পৌঁছোল উধমপুরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের দেহ। তেহট্টের পাথরঘাটার বাড়িতে শনিবার সকালে তাঁর দেহ পৌঁছেছে। স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ছিলেন ঝন্টু। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর পরই উধমপুরে সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এনকাউন্টারে যোগ দিয়েছিলেন ঝন্টুও। জঙ্গিদের গুলি এসে লাগে তাঁর গায়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঝন্টুর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ঝন্টুর দাদা নাজিম শেখকে তিনি পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। নাজিম জানিয়েছেন, যে কোনও প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি ফোন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কথা হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গেও। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পরে সেখানে হাজির হন মহুয়া।

Advertisement

শুক্রবার জম্মুতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে বিদায় জানানো হয় ঝন্টুকে। গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তাঁর দেহ। সেখান থেকে সকালে দেহ নিয়ে আসা হল নদিয়ায়। শহিদ ঝন্টুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত গোটা গ্রাম। বহু মানুষ তাঁদের বাড়ির সামনে এবং ইদগাহ ময়দানে জড়়ো হতে শুরু করেছেন। জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী।

 

ঝন্টুর দাদা নাজিম এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। অনিন্দিতা কাশ্মীরেই রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমেই গ্রামের বাড়িতে বসে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান ঝন্টুর বৃদ্ধ বাবা-মা। ঝন্টু বিবাহিত। স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে থাকেন। তাঁরা তেহট্টের বাড়িতে এসেছেন।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা সংগঠন দ্য রেজ়িসট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ)। এর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ