কসবায় চাকরিহারা প্রার্থীকে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই-কে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল লালবাজার
কসবায় চাকরিহারা প্রার্থীকে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই-কে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পেয়েছেন অন্য এক এসআই। লালবাজার সূত্রে খবর, কসবার ঘটনার তদন্ত করবেন সঞ্জয় সিংহ। কসবা থানায় এসআই পদে আছেন তিনি। এর আগে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসআই রিটন দাসকে। অভিযোগ, গত বুধবার চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ভাইরাল ভিডিয়োয় এক আন্দোলনকারীর পেটে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে । পরে ওই দিনের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার (আইও) হিসাবে নিযুক্ত হন সেই রিটনই। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তার মাঝেই শুক্রবার জানা গেল, প্রথমে রিটনকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরে কসবাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার বদলে দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে দাবি, বুধবার কসবার ডিআই অফিসের সামনে যখন চাকরিহারাদের বিক্ষোভ চলছিল, তখন দায়িত্বে ছিলেন এসআই রিটন। কর্তব্যরত অবস্থায় থাকায় তাঁকেই এই সংক্রান্ত তদন্তের আইও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তা বদলানো হয়েছে এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই সঞ্জয়কে। উল্লেখ্য, সব ক্ষেত্রে কর্তব্যরত অফিসারকেই আইও হিসাবে নিয়োগ করে না লালবাজার। ধর্ষণের ঘটনা বা পকসোর মতো স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা আইও হিসাবে উপযুক্ত অফিসারকে সুপারিশ করে থাকেন। কসবার ঘটনায় তা করা হয়নি।
কসবার ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে যে এফআইআর হয়েছিল, তার তদন্তের দায়িত্বে প্রথমে রাখা হয়েছিল রিটনকে। শুক্রবার সকালে সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার পরেই জানা যায়, প্রথমে রিটন দায়িত্ব পেলেও পরে তাঁকে সরানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তরফে বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, বিনা প্ররোচনায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছিল কসবায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করতে হয়েছে। তবে যা ঘটেছে, তা কাম্য নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশের তরফে ভিডিয়ো প্রকাশ করে পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের সেই ভিডিয়োয় এক চাকরিহারাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘পেট্রল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব।’’ চাকরিহারারা অবশ্য জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য তাঁরা করতে পারেন না। বরং চাকরি ফিরে না-পেলে পেট্রল ঢেলে তাঁরা নিজেদের জ্বালিয়ে দিতে পারেন।