দেশ 

‘ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারও ভয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ার মতো মানুষ আমি নই’ : কুনাল কামরা

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে নিয়ে নিয়ে প্যারোডি গান করায় কমেডিয়ান কুনাল কামরার উপর ক্ষিপ্ত একনাথ শিণ্ডের ভক্তরা। তারা শুধু স্টুডিও ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে অনড় রয়েছেন একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই থানায় এফআইআর করা হয়েছে কুনাল কামরার বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কৌতুক শিল্পী কুনাল কামরার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ক্ষমা তিনি চাইবেন না।তিনি কড়া সুরে জানালেন, ‘কারও ভয়ে খাটের নিচে লুকোব না।’ শুধু তাই নয়, শিণ্ডে ভক্তদের পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়েছিলেন তিনি এখন তামিলনাড়ুতে রয়েছেন।

শিণ্ডে ভক্তদের তরফে স্টুডিওতে ভাঙচুরের ঘটনার পর সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে এই শো করা হয়েছিল তা শুধুমাত্র একটি মঞ্চ। আমার কৌতুকের জন্য সেই মঞ্চ দায়ী নয়। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি কৌতুক করি বা রাজনৈতিক ভাষণ দেই মঞ্চ তাতে বাঁধা দিতে পারে না। ফলে সেখানে হামলা মুর্খামি। বাটার চিকেন পছন্দ না হলে টমেটোর লরিতে হামলা চালানো কোনও কাজের কথা নয়।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কৌতুক শিল্পীদের বাকস্বাধীনতার ধনী ও ক্ষমতাবানদের প্রশংসার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ঠিক নয়। একজন প্রভাবশালী জনগণের ক্ষতি করে অথচ সামান্য কৌতুক সহ্য করতে পারে না। যদিও তাঁর অক্ষমতা আমার অধিকারকে কেড়ে নিতে পারে না। যতদুর জানি এই ধরনের কৌতুক আইন বিরোধী নয়।’

Advertisement

এই ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারও ভয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ার মতো মানুষ আমি নই।’ এর পাশাপাশি সম্প্রতি এক অডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে শোনা যাচ্ছে ফোনে কুণালকে হুমকি দিচ্ছেন নিজেকে শিব সেনা সমর্থক বলে দাবি করা এক ব্যক্তি। যেখানে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গিয়ে দেখ হোটেল ও স্টুডিওর কী হাল করেছি। তোকেও যেখানে পাব একই হাল করব।’ পাল্টা কুণাল বলেন, ‘তাহলে চলে আসুন আমি এখন তামিলনাড়ুতে রয়েছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক হোটেলে নিজের চেনা ভঙ্গিতে কৌতুক করতে দেখা যায় কুণাল কামরাকে। সেখানে মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনীতি শিব সেনার দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেন কুণাল। নাম না করে একনাথ শিণ্ডেকে কটাক্ষ করেন। এমনকী গান বেঁধে তাঁকে ‘গদ্দার’ বলতেও ছাড়েননি। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তেতে ওঠেনশিণ্ডে সমর্থকরা। যে হোটেলে এই শো রেকর্ড করা হয়েছিল, রবিবার সেখানে হামলা চালানো হয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ