আন্তর্জাতিক 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী সংবাদপত্রে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চলেছেন? হোয়াইট হাউসের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দেশ বলে কথিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া কি শুরু হলো? জানা গেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খবর কোন কোন সংবাদ মাধ্যম সংগ্রহ করতে পারবে তা ঠিক করে দিবে সরকার এই মর্মে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা জারির পরই সংবাদপত্রে স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যকলাপ কোন কোন সাংবাদিক সংগ্রহ করতে পারবেন, তা নিয়ন্ত্রণ করবে হোয়াইট হাউস। মূলত এয়ার ফোর্স ওয়ান এবং ওভাল অফিসের মতো জায়গায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হবে। হোয়াইট হাউসে প্রবেশে একচেটিয়া অধিকার খর্ব করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। লিভিটের যুক্তি, ‘নতুন কণ্ঠস্বর’কে সুযোগ দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের নতুন নির্দেশিকা জারির পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকের প্রশ্ন, ট্রাম্প কি এ বার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও হোয়াইট হাউস নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। কেন এ হেন নির্দেশ দিল ট্রাম্প প্রশাসন?

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এপি-র এক সাংবাদিককে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়া হয়। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, ট্রাম্পের নির্দেশ মেনে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পাল্টে ‘গাল্‌ফ অফ আমেরিকা’ লেখেনি এপি! তাতেই নাকি রেগে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তনের এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তার পর থেকে প্রায় সর্বত্রই মেক্সিকো উপসাগরকে নতুন নামই উল্লেখ করছে। তবে এপি জানিয়েছিল, তারা ওই অঞ্চলের পুরনো নাম ব্যবহার করবে। তার পরই হোয়াইট হাউসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয় এপি-র। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয় ওই সংবাদসংস্থা। যদিও গত সোমবার এক মার্কিন আদালত এপি-র আবেদন খারিজ করে দেয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ