মোস্তাক হোসেন : জীবন ও ঐতিহ্য গবেষণা গ্রন্থটি পড়ছেন অমর্ত্য সেন
বিশেষ প্রতিবেদন: মোস্তাক হোসেন এক বর্ণময় ব্যক্তিত্ব। সমাজের কাছে ‘আদর্শ’ ব্যক্তি। যিনি সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন ‘পতাকা’ সাম্রাজ্য। হয়ে উঠেছেন বাঙালি ও ভারতীয় আইকন। শুধু বাঙালি কেন কোনও ভারতীয়ও এমন দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামীণ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করে মোস্তাক হোসেনের মতো শিল্পপতি হননি। মোস্তাক হোসেন তাঁর সমগ্র জীবন বাঙালি সমাজ ও বাঙালির সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সেবায় ব্যয় করেছেন। তাঁকে নিয়েই ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রেস কর্নারে সম্প্রতি ‘মোস্তাক হোসেন: জীবন ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক এক গবেষণা গ্রন্থের উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক উজ্জ্বল সিনহা ও উদার আকাশ প্রকাশনের প্রকাশক ফারুক আহমেদ। সাতশো কুড়ি পৃষ্ঠার এই সুবিশাল গ্রন্থে কলম ধরেছেন একশো সতেরো জন লেখক। পঁয়তাল্লিশ ফর্মার মূল্যবান গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক ফারুক আহমেদ। ‘উদার আকাশ’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং সমাজসেবী মোস্তাক হোসেনকে নিয়ে লেখা এই গ্রন্থে কলম ধরেছেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘মোস্তাক হোসেনের জীবনমুখী কার্যকলাপের কথা জেনে মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি। তাঁর মতো মানুষ আজ বিরল। এমন জীবনদরদি ও মানবদরদি মানুষ এখন আমাদের খুব দরকার।’

লেখক তালিকায় যেমন রয়েছেন বর্ষীয়ান কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, তেমন রয়েছেন উদীয়মান প্রকাশক, সম্পাদক, প্রবন্ধকার ও গবেষকরা।
মোস্তাক হোসেন : জীবন ও ঐতিহ্য গবেষণা গ্রন্থটি হাতে পেয়েছেন অমর্ত্য সেন। শান্তিনিকেতনের বাসভবনে সময় ও সুযোগ পেলেই বইটি হাতে তুলে নিয়ে পড়ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এবং গ্রামীণ উন্নয়নে মোস্তাক হোসেন যে ঐতিহাসিক কাজ করেছেন তা খুঁটিয়ে অনুধাবন করছেন অমর্ত্য সেন। গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে মোস্তাক হোসেন মিশন স্কুলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অফুরন্ত সময় ও অর্থ দান করে আধুনিক বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। গ্রামীণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন আধুনিক শিক্ষা। গ্রামীণ ঘরে ঘরে এখন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে মোস্তাক হোসেন শিক্ষা প্রসারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেই। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। বিগত কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিক মিশন স্কুল গড়ে তোলার মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষাদানে সহায়তা করছেন তিনি। আবাসিক হস্টেলের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সমস্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মোস্তাক হোসেন।
অমর্ত্য সেন এক অসাধারণ প্রতিভার গল্প
”তোর ছেলে একদিন মর্ত্যজয়ী হবে। ওর নাম রাখলাম অমর্ত্য। নামের বানানটা ঠিক রাখিস, য-ফলা দিতে ভুল করিস না যেন।”
—এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, অমর্ত্য সেন-এর প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি বিখ্যাত সাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ও। অমর্ত্য সেন-এর পিঠ চাপড়ে তিনি বলেছিলেন,
“তুমি ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি, তোমার রক্তে সাহিত্য লুকিয়ে আছে। লিখে যাও, একদিন তুমি বড় লেখক হবে।”
শৈশব থেকেই অমর্ত্য ছিলেন প্রতিভার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর দাদু ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত, যিনি অমর্ত্যকে ভাষা ও ব্যাকরণ শেখার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলতেন। কিন্তু অমর্ত্য সেন বলতেন,
“ভাষা আসে প্রাণের তাগিদে, মানুষের জীবনের প্রয়োজনে। ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়মের কাঠামোয় বেঁধে রাখে, কিন্তু ভাষার উদ্ভব তার বহু আগেই হয়েছে।”
এক বিস্ময়কর ছাত্রজীবন
অমর্ত্য সেন ছিলেন এক অসাধারণ মেধাবী ছাত্র, তবে তাঁর পড়াশোনার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন
আইএসসি পরীক্ষার দিন যখন পরিবারের সবাই উদ্বেগে অপেক্ষা করছিলেন, তখন অমর্ত্য সেন বন্ধুদের সঙ্গে বকুলতলায় আড্ডায় ব্যস্ত। মা অমিতা সেন ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরে এনে পরীক্ষার হলে পাঠান। ততক্ষণে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ফলাফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। অমর্ত্য সেন রেকর্ড নম্বর পেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
বিজ্ঞান না অর্থনীতি?
এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন অমর্ত্য সেনের বাবা, আশুতোষ সেন, ছিলেন একজন ভূবিজ্ঞানী। তিনি চাইতেন তাঁর ছেলে বিজ্ঞানী হোক। কিন্তু অমর্ত্যের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন অধ্যাপক অমিয়কুমার দাশগুপ্ত।
মি. দাশগুপ্ত একদিন বলেছিলেন,”শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর দারিদ্র্যের মূল কারণ হচ্ছে রুগ্ন অর্থনীতি, সম্পদের অসম বণ্টন, ভূমি ব্যবস্থার সংকট ও কল্যাণমূলক অর্থনীতির অভাব। এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হলে অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করতে হবে।”
এই কথাগুলো অমর্ত্যের মনে গভীর রেখাপাত করল। তিনি বুঝতে পারলেন, সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে অর্থনীতিই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। এরপর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলেন।
প্রেসিডেন্সির তিন প্রতিভাবান ছাত্র
প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর অমর্ত্যের সঙ্গে পরিচয় হয় আরও দুই অসাধারণ ছাত্রের—সুখময় চক্রবর্তী এবং বিনয় চৌধুরীর।
অমর্ত্য সেন ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকারী।সুখময় চক্রবর্তী পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় ছাত্র।বিনয় চৌধুরী সারা পূর্ব-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী।তিন তারকা ছাত্রের আগমনে প্রেসিডেন্সির অর্থনীতি বিভাগে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ভবতোষ দত্ত বলেছিলেন,”সুখময়ের পড়াশোনার ব্যাপ্তি ছিল অনেক, কিন্তু অমর্ত্যের জ্ঞান ছিল অত্যন্ত গভীর ও সুসংগঠিত। তাঁর উত্তরের ভাষা ছিল সংক্ষিপ্ত, অথচ সম্পূর্ণ। শিক্ষকরা অনেক সময় বুঝতেই পারতেন না কাকে বেশি নম্বর দেব। শেষ পর্যন্ত দুজনকেই সমান নম্বর দিয়ে সমস্যার সাময়িক সমাধান করতাম।”
অনার্স পরীক্ষায় দুজনই অসাধারণ নম্বর পান, তবে অমর্ত্য সেন সামান্য বেশি নম্বর পেয়ে প্রথম হন, আর সুখময় দ্বিতীয়।
অমর্ত্যের অনন্য বিশ্লেষণী ক্ষমতা
প্রেসিডেন্সির ক্লাসে অধ্যাপকেরা প্রায়ই বিস্মিত হতেন অমর্ত্যের গভীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা দেখে। তিনি এমন সব প্রশ্ন করতেন, যার উত্তর তখনকার প্রচলিত অর্থনীতি তত্ত্ব দিয়েই দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ত।
একদিন তিনি অধ্যাপককে প্রশ্ন করলেন,”যদি কোনও দ্রব্যের চাহিদা বাড়ে, স্বাভাবিকভাবে জোগানও বাড়বে। কিন্তু যদি জোগান কৃত্রিম উপায়ে আটকে রাখা হয়, তাহলে চাহিদার অবস্থা কী হবে?’
এই প্রশ্ন পরবর্তী সময়ে আরও বিস্তৃতভাবে উপস্থাপিত হয় তাঁর বিখ্যাত বই “Poverty and Famines”-এ। এই বইয়ে তিনি দেখান, দুর্ভিক্ষ আসলে খাদ্যের ঘাটতির কারণে নয়, বরং সম্পদের বৈষম্যমূলক বণ্টনের কারণে ঘটে।
সীমাহীন সাফল্যের পথে অমর্ত্য
অমর্ত্য সেন কেবলমাত্র একজন অসাধারণ শিক্ষার্থী ছিলেন না, তিনি অর্থনীতির জগতে এমন এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছিলেন, যা পরবর্তীকালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়।
তাঁর গবেষণায় উঠে আসে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের নতুন সংজ্ঞা, যা সারা পৃথিবীতে নীতিনির্ধারকদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠে।
তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন সত্যিকারের প্রতিভা শুধু নিজের সাফল্যই অর্জন করে না, বরং জগতের অগণিত মানুষকে আলোকিত করে তোলে।
মাটির মানুষ মাটির কাছে বারবার ফিরে আসেন নিজের জন্মভূমি শান্তিনিকেতনের বাসভবনে। মাটির মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেন।
মাটির মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছেন মোস্তাক হোসেন। সেই মোস্তাক হোসেনকে নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ হাতে পাওয়ার পর পড়তে শুরু করেছেন।
উদার আকাশ প্রকাশনের প্রকাশক ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, “এটা বড় সৌভাগ্যের বিষয় আমাদের কাছে। স্যার আমাদেরকে প্রাণিত করলেন।”
বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন শুধুমাত্র অর্থনীতির শৃঙ্খলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেননি, তার কাজ দারিদ্র্য, উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে জনসাধারণের বক্তৃতাকেও রূপান্তরিত করেছে।
অমর্ত্য সেনের ন্যায়বিচারের ধারণা তাঁর লেখা দ্য আইডিয়া অফ জাস্টিস বইয়ে পাওয়া যায়।
অমর্ত্য সেনের ন্যায়বিচারের ধারণা অনুযায়ী, ন্যায়বিচার মূল্যায়ন করা উচিত মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা এবং সুযোগের উপর ভিত্তি করে।
অমর্ত্য সেনের ন্যায়বিচারের ধারণা সম্পর্কে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাস্টিস ব্রিহাউসের গভীর পড়াশোনা রয়েছে।
অমর্ত্য সেন একজন ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক।
তিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
অমর্ত্য সেন-এর জন্ম ৩ নভেম্বর ১৯৩৩। অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার বিজয়ী একজন ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণ দারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও জাতীয় মানবিকতা মেডেলে ভূষিত হন। অমর্ত্য সেন ভারতরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৯৯ সালে।
প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্স, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি, বর্তমানে তিনি টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিটি কলেজ, অক্সব্রিজ এবং কেমব্রিজের একজন সিনিয়র ফেলো। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেলথ-এর সদস্য। তিনিই প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন।
অমর্ত্য সেনের লিখিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তিনি ইকোনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির একজন ট্রাস্টি। ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে অনূর্ধ্ব ষাট বছর বয়সি ভারতীয় বীর হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ২০১০ সালে তাকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। নিউ স্টেট্সম্যান ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ৫০ জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়।
ছবি সৌজন্যে প্রতীচীর সাবির আহমেদ।