বাঘাযতীনের হেলে পড়া ফ্ল্যাটের প্রোমোটারকে বকখালি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি : বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে একটি আবাসন হেলে পড়েছিল। আরে হেলে পড়ার জন্য দায়ী করা হয় ওই আবাসনের প্রোমোটার কে। কিন্তু ঘটনার দিন থেকে আবাসনের প্রোমোটার নিখোঁজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে ওই ফ্লাট বাড়িটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাড়ি ভাঙার দুদিনের মধ্যেই প্রোমোটার সুভাষ রায়কে গ্রেফতার করলো সুন্দরবন জেলা পুলিশ। এর সাহায্য নিয়ে কলকাতা পুলিশ।গত মঙ্গলবার বহুতল বিপর্যয়ের পর তিনি বকখালিতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের জালে সুভাষ রায় নামে ওই প্রোমোটার।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। ইতিমধ্যেই প্রোমোটার সুভাষ রায় ও আট বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনকে না জানিয়েই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মাটি পরীক্ষা না করে চলছিল ‘হাইড্রলিক জ্যাকিং’। প্রোমোটার সুভাষ রায়ের সংস্থা নাগরা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এই কাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতেই শুরু হয়েছিল বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ।
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন প্রোমোটার সুভাষ রায়। পুলিশ তদন্তে নেমে তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে দেখে, এলাকাতেই নেই তিনি। মোবাইলে ফোন করলে সুইচড অফ বলা হয়। তবে তাঁর সন্ধানে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একবার মোবাইল ফোন অন করেন সুভাষ রায়। তাতেই তাঁর টাওয়ার লোকেশন জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র জানা যায়, বকখালির এক আবাসিক হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছেন সুভাষবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন জেলা পুলিশের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের সাহায্যে ওই হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে শেষপর্যন্ত বাগে আনে সুভাষ রায়কে। তাকে বকখালি থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে।