চোখের জলে বিদায় নিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কফিন বয়ে নিয়ে গেলেন রাহুল গান্ধী
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতৃত্বের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টি সম্পূর্ণ হল প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। বাড়ির লোকের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অন্তিম যাত্রায় কাঁধ দিলেন রাহুল গান্ধীও। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট নাগাদ বোলে সো নিহাল, সৎশ্রী অকাল ধ্বনিতে মনমোহনের চিতায় আগুন দিলেন তাঁর কন্যা।
শনিবার সকালে কংগ্রেস সদর দফতর থেকে রওনা দিয়ে মনমোহনের শববাহী গাড়ি লালকেল্লার পিছনে যমুনার তীরে নিগমবোধ ঘাটে গিয়ে পৌঁছায়। গাড়ির সঙ্গেই ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সেবাদলের কর্মী ও তিন বাহিনীর জওয়ানরা তেরঙা জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন নিয়ে আসেন। সেখানে দেশ-বিদেশের নেতারা অন্তিম শ্রদ্ধা জানান ভারতের অর্থনীতির নবরূপকারকে। সমর্থকরা স্লোগান তোলেন মনমোহন সিং অমর রহে। এদিনের শেষযাত্রায় লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ শববাহী গাড়ির সঙ্গে হেঁটে আসেন শ্মশানঘাট পর্যন্ত।
সকাল থেকেই নিগমবোধ ঘাট পুলিশের দখলে ছিল। প্রচুর কংগ্রেস সমর্থক সহ সাধারণ মানুষও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে। দিল্লি পুলিশ পুরো ঘিরে ফেলেছে নিগমবোধ ঘাটকে। ব্যাপক নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। কারণ মনমোহনের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাছাড়া সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও হাজির ছিলেন শেষ পর্যন্ত। দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা ইতিমধ্যেই নিগমবোধ ঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে ছিলেন।
মনমোহনের শেষযাত্রার জন্য দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় সকাল থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। ভিভিআইপিদের যাত্রাপথে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।