দেশ 

নেহেরু ইন্দিরার পর দেশের সবচেয়ে সফলতম প্রধানমন্ত্রী এবং উদার অর্থনীতির জনক ড. মনমোহন সিং চলে গেলেন

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : জহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর পর দেশের রাজনীতিতে সফলতম প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং আজ বৃহস্পতিবার রাত্রি ৯ টা ৫১ নাগাদ পরলোকগমন করেছেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বয়স জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। তবে এই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদের মস্তিষ্ক সবসময় সজাগ ছিল। অসুস্থতার কারণেই সম্প্রতি তিনি রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।

দেশ তথা বিশ্ব তাকে স্মরণ করবে একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসাবে ভারতে উদার অর্থনীতির জনক হিসাবে এবং স্বচ্ছ বলিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। আজ বৃহস্পতিবার রাত্রি আটটা নাগাদ হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাকে সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় এমসে। ওই হাসপাতালেই তিনি পরলোক গমন করেন।

Advertisement

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের প্রধান মুখ হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন মনমোহন। ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কাছে ইউপিএ পরাজিত হলে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়া, পিভি নরসিংহ রাও পরিচালিত সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন মনমোহন।

২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কোভিডে আক্রন্ত হন তিনি। হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। তবে সেই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তার পর থেকে শরীর কমবেশি অসুস্থই ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দিল্লি এমসে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাও।

দিল্লি এমসের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বাড়িতেই হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাঁকে দিল্লি এমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক দলের সবরকম চেষ্টার পরেও তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে দিল্লি এমস।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শেষ বার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ