সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের রাজ্য সম্মেলনে চাঁদের হাট
সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় উত্তর ২৪পনগনা জেলার বারাসাত নীল-দর্পণ অডিটোরিয়ামে। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন রাজ্যের ১৪ টি জেলাতে তো মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে এলাকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কে অনুপ্রাণিত করতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সারা বছর যারা রাজ্য জুড়ে মানুষের জন্য কাজ করে চলছে তাদেরকে সোনার বাংলার সেরা মুখ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়, ৫০ বারের ওপরে যারা রক্তদান করেছে তাদের রক্তযোদ্ধা অ্যাওয়ার্ড এবং গৌরব সম্মান এওয়ার্ড এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা গুণীজন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা বাকিবুল্লা সাহেব, উপস্থিত ছিলেন জাস্টিস ইন্তাজ আলী সাহা, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ডাক্তারবাবু প্রিয়জিত কুমার কয়াল, বিশিষ্ট ডাক্তার বাবু এবং পৌর পিতা সুমিত সাহা, অল ইন্ডিয়া ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার ফোরাম এর সম্পাদক দিলীপ মন্ডল, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস রবীন্দ্রনাথ সরকার, উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত অ্যাথলিক চ্যাম্পিয়ন প্রবীর সরকার, উপস্থিত ছিলেন আবু আফজাল জিন্না সাহেব, এডভোকেট আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট মোটিভেশন স্পিকার আবেদীন হক আদি, সাহিত্য প্রেমিক , কবি, শিল্পী, সহ ডোমকল পলিটেকনিক কলেজের রেজিস্টার হুমায়ুন কবীর, বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমা মুখার্জি , প্রদীপ কুমার পাত্র, ডক্টর জুলফিকার মন্ডল , জনাব আবুসিদ্দীক খান মিদ্দে , সাজিদ গাইন, সংগঠনের সম্পাদক রুহুল আমিন গোলদার সহ উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ এবং নানা স্তরের সমাজসেবী গন এবং গুনী মানুষ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন বিশিষ্ট আঙ্কর প্রসেনজিৎ রাহা।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোনার বাংলার রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান শাবানা পারভিন বলেন সপ্তাহে একদিন করে আমরা মানুষের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছি কিন্তু কিন্তু অর্থের অভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া তা কঠিন হয়ে পড়েছে, সারা রাজ্যজুড়ে আমরা থ্যালাসেমিয়া অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প, রক্তদানে আওয়ারনেস ক্যাম্প, শিক্ষা awarness camp করে চলেছি, বালিকা বিবাহ রোধ, পথ শিশুদের দেখভাল,অত্যাচারিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো, চেষ্টা করছি মানুষের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার, মহিলাদের হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার। কিন্তু আর্থিকভাবে এই সংগঠন ভীষণই দুর্বল তাই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে বড়ো প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। মানবিক মানুষ যদি সোনার বাংলার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন আরো বেশি বেশি মানুষের কাজ করতে পারবে।