নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলাতে গিয়ে ঘেরাও হলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক
বাংলার জনরব ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন নির্বাচনের ঠিক আগের দিন টাকা বিলোতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের হাতে ঘেরাও হলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।পালঘর জেলার বেরারে বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে একটি হোটেল থেকে টাকা বিলি করছিলেন বলে স্থানীয় বিধায়ক তথা কোঙ্কণ উপকূলের প্রভাবশালী নেতা বঞ্চিত বিকাশ আঘাড়ীর প্রধান হিতেন্দ্র ঠাকুরের অভিযোগ।
হিতেন্দ্র বলেন, ‘‘ওই হোটেলে তাওড়ের ঘর ঘেরাও করে আমরা পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার করেছি। সঙ্গে একটি ডায়েরি পেয়েছি। তাতে লেখা আছে বিলি করার জন্য মোট ১৫ কোটি টাকা এনেছিলেন তিনি।’’ হিতেন্দ্রের ছেলে তথা নালাসোপাড়ার বিধায়ক ক্ষিতিজ ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীরা ওই ডায়েরিটি তাওড়ের থেকে ছিনিয়ে নেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে।
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাওড়ের হোটেলের ঘর থেকে ৯ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবার সন্ধ্যা ৫ টায় ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পরে ‘বহিরাগত’ বিজেপি নেতা কেন পালঘরে ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হিতেন্দ্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। দু’দফায় মহারাষ্ট্র বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রথম বার ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯। দ্বিতীয় বার ২০০২ থেকে ২০১১। ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের বোরিভলি আসন থেকে জিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান প্রথম দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মন্ত্রিসভায়। স্কুলশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি, মরাঠি ভাষা দফতরও ছিল তাঁর হাতে।
এইভাবে বিজেপি নেতা ধরা পড়ার পর নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় একজন পার্টির সর্ব ভারতীয় নেতা পালঘরে কি করছিলেন ? তা কেন কমিশন খতিয়ে দেখলো না তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে! বহিরাগত কেন ভোট প্রচারের শেষে এলাকায় থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।