দেশ 

সরকারের ওয়াকফ Act সংশোধনের প্রস্তাব – সংবিধান ধ্বংসের দিকে আরো ও এক ধাপ এগোনো।

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : ওয়াকফ আইনের সংশোধন ভারত সরকারের একটা খুব কুটিল পদক্ষেপ। এটা সুচিন্তিত ভাবে নেওয়া একটা পদক্ষেপ যেটা ভারতীয় সংবিধানের ২৫ – ২৮ অনুচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট ধর্মের মৌলিক অধিকার কে অস্বীকার করে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে গণ্য করা এবং তাদের অস্তিত্ব দাসত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।

একদশক আগে ক্ষমতায় আসার পর আরএসএস এর মতাদর্শী গোলওয়ালকারের সাম্প্রদায়িক মনোভাব দ্বারা পরিচালিত বিজেপি সরকার মুসলিমদের নাগরিকত্ব হরণের তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বদ্ধপরিকর। একদিকে যেমন মুসলিমদের প্রার্থনাস্থল গুলো ধ্বংস করা হচ্ছে বেআইনি অধিকৃত বলে আখ্যা দিয়ে অন্যদিকে সেগুলো মন্দিরে রূপান্তর করা হচ্ছে এই অজুহাতে যে সেখানে মাটির নিচে নাকি দেব-দেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষতি হবে এমন আইন প্রণয়ন যেন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। কেন্দ্রে এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রধান কাজই হয়ে গেছে মুসলিমদের ক্ষতিসাধন।

Advertisement

ওয়াকফ এর সপত্তি কিন্তু জনগণের সম্পত্তি নয়। এই সম্পত্তি বিভিন্ন গুনি মুসলিমদের দ্বারা দানকৃত সম্পত্তি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহারে যেমন মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং বিভিন্ন দান-খয়রাত এর কাজে লাগানো ইত্যাদির জন্য। ওয়াকফ আইন তৈরি হয়ে আছে এই সমস্ত কাজের তত্ত্বাবধানের জন্য। বর্তমানে সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী এবং স্বৈরাচারী।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট ব্যাক্তিরা ওয়াকফ এর প্রচুর সম্পত্তি হস্তগত করে রেখেছে, সরকারের উচিত সেই সমস্ত সম্পত্তি কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া। সেটা না করে সরকার কী ভাবে ওই সম্পত্তি ব্যবহারের উপর অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় সেই ফন্দি আঁটছে।

সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া সরকারের এই অসংবিধানিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং সরকার এটা ফিরিয়ে নিয়ে সরকার যাতে সাংবিধানিক অধিকার সকল নাগরিকের জন্য সমান ভাবে সুনিশ্চিত করে সেই দাবি জানায়।

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ