ভোট শুরু হতেই অশান্তি কুলতলিতে ইভিএম মেশিন পুকুরে ফেলে দিল গ্রামবাসীরা অভিযোগ ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে ঘটনাস্থলে পুলিশ কমিশনের প্রতিনিধিরা
বাংলার জনরব ডেস্ক : শেষ দফার নির্বাচন শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যের নটি আসনে এই পর্যায়ে নির্বাচন হতে চলেছে। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, জয়নগর, মথুরাপুর, বারাসাত, বসিরহাট ও দমদম। আজ শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার কুড়ি মিনিটের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলীতে অশান্তির এতটাই বিস্তার করে যে ইভিএম এবং ভিভি প্যাট মেশিন দুটোই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাদেরকে নাকি তৃণমূল কর্মীরা ভোট দিতে বাধা দান করছে সেই জন্যেই তারা ইভিএম মেশিন জলে ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পৌঁছলে তাদের গাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, ভোট দিতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
Advertisement:
লোকসভা ভোটগ্রহণের শেষপর্বে ফিরল অশান্তির ‘চেনা’ ছবি। ভোট শুরুর আগে থেকেই দফায়-দফায় উত্তেজনার ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্য়ে অন্যতম জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথের ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পুকুরে ফেলে দেয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশ এলে তাদের গাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারী। যান কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তদন্ত শুরু করেছে তারা। কারা এই ঘটনা ঘটাল তা খতিয়ে দেখছে কমিশন। বিকল্প ইভিএম এনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এদিনের ঘটনা পঞ্চায়েত ভোটের ছবি মনে করাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেই ভোটেও ব্যালটবাক্স জলে ফেলা হয়েছিল।