কলকাতা 

ভাগাড়ের মাংস হোটেলে সরবরাহ করতে হিমঘরে মজুত করে রাখা হত টন টন মাংস

শেয়ার করুন
  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহের ঘটনায় নয়া মোড়। বিহারের নওদা থেকে ভাগাড় কান্ডের নায়ক সানি মালিক ও বাকি ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্ততকারী  অাধিকারিকদের কাছে। ধৃতদের জেরা করে নারকেলডাঙার এমএন চ্যাটার্জি রোডে হিন্দুস্থান কোল্ড স্টোরের হদিশ পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেখানে যৌথভাবে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ ও বজবজ থানার পুলিশ। এরপরেই সেখান থেকে পচা মাংসের হাজারটি প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মাংসের পরিমাণ ২০ টন। প্রাথমিকভাবে পুুুুলিশের ধারণা  এই মাংসগুলি হোটেলে সরবরাহ করার জন্য ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করে এনে রাখা হত এই কোল্ড স্টোরে। সেই মাংস প্রথমে পিস কর তারপর প্রক্রিয়াকরণ করা হত। প্রয়োজন অনুুুযায়ী তা বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হত।

বিপুল পরিমাণে ভাগাড় থেকে পেত কীভাবে, পুলিশের দাবি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দুই ২৪ পরগণার বিভিন্ন ভাগাড়গুলিতে লোক রাখা হত। এর পর কোথাও মৃত গোরু, ছাগল, কুুুুকুর, বিড়াল সহ যেকোনও পশু ফেলা হলেই তারা খবর দিত মূল পান্ডাদের।রাতের অন্ধকারে ভাগাড়ের সামনে গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যেত। এর পর পশুটি তুলে নেওয়া হত ওই গাড়িতে। পরে নিজেদের আশ্রয়ে তা নিয়ে গিয়ে পিস করা হত। এর পর তা সরবরাহ করা হত বিভিন্ন হোটেলে।

Advertisement

এদিন নারকেল ডাঙার পর ট্যাংরা, ভাটপাড়া, জগদ্দল ও কাঁকিনাড়া সহ বিভিন্ন এলাকাতেও অভিযান চালায় পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। শহরের আর কোথায় এই ধরণের পচা মাংস সরবরাহ করা হয় কিংবা এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা জানতে  ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

তবে কোল্ড স্টোরের মালিক এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মাংসগুলি মরা পশুর কিনা, তা জানতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 


শেয়ার করুন
  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fourteen − five =