গাজায় ইসরাইলি সেনার কবর হবে হুঁশিয়ারি লেবাননের হিজবুল্লাহর, লেবাননের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে ইসরাইলকে নিষেধ করল আমেরিকা কেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন
বিশেষ প্রতিনিধি : গাজা ভূখণ্ডে বসবাসরত নিরীহ বাসিন্দাদের পানীয় জল ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে আকাশপথে নির্বিচারে বোমা বর্ষণের প্রতিবাদে এবার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল লেবাননের কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন হিজবুল্লাহ। জানা গেছে গত শুক্রবার রাতে হিজবুল্লাহর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ে এ ইসরাইলের একটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে এবং একজন সেনা নিহত হয়েছে। এই সেনা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মরত ছিলেন এবং তিনি রিজার্ভ ফোর্সে কাজ করতেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরাইল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই ভদ্রলোক যুদ্ধে যোগ দিতে সুদূর আমেরিকা থেকে ইসরাইলে এসেছিলেন। এদিকে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে তাদের একজন সহ নাগরিক এবং রিজার্ভ ফোর্স এর কর্মী লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে।
অন্যদিকে হিজবুল্লার অন্যতম মুখপাত্র শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, গাঁজা ভূখণ্ডে যদি জমিনে অভিযান চালায় ইসরাইল তাহলে সেখানে তাদের কবর হবে। স্থলপথে যুদ্ধ করতে গেলে ফিলিস্তিনি জনতা যেমন ছাড়বে না হিজবুল্লাহও একই রকম ভাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করবে। গাজা ভূখণ্ডের ভেতরে যদি ইসরাইল সেনারা ঢুকে পড়ে তাহলে সেখান থেকে তাদেরকে বের হতে দেওয়া হবে না এবং সেখানেই হবে ইসরাইলি সেনাদের শেষ পরিণতি। একথা হিজবুল্লার অন্যতম মুখপাত্র শেখ নাঈম কাসেম সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন। রেডিও তেহারন থেকে সম্প্রচারিত এই খবরে আরো জানা যাচ্ছে শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, আমাদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্র শক্তির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে এই যুদ্ধে না জড়াতে। কিন্তু মজলুম মানুষের জন্য এবং নিরীহ জনতার উপরে নির্বিচারে যেভাবে বোমাবর্ষণ করছে ইসরাইল সেক্ষেত্রে মানবতার স্বার্থে আমরা এই যুদ্ধে জড়িয়ে গেছি আর পেছন ফেরার কোন জায়গা নেই।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ওয়াশিংটন টাইমসের খবর অনুসারে জানা যাচ্ছে যে মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলকে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিষেধ করেছে। কারণ মার্কিন প্রশাসন মনে করছে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একবার যুদ্ধে যদি ইসরাইল জড়িয়ে যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু ইসরাইল নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার বন্ধুদের হারাতে পারে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে বলা হয়েছে তারা যেন কোনভাবেই লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে না যায়।
অবশ্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে যদি লেবাননের সঙ্গে ইসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে এই যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে সরাসরি ইরান রাশিয়া এবং চীন। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে বন্ধুর সংখ্যা বাড়াতে চীন সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। তবে এ কথা ঠিক ফিলিস্তিনিদের উপরে ইসরাইলের হামলা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে দ্রুত পরিবর্তন ঘটবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।