দেশ 

নিউজ ক্লিকের সম্পাদক এবং আধিকারিকের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা কেন? ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দিল্লী পুলিশকে জানতে বললো সুপ্রিম কোর্ট

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : এক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক সম্পাদক এবং দফতরের আধিকারিক এর গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । গত ৩রা অক্টোবর ভারতের অন্যতম প্রথম সারির নিউজ পোর্টাল নিউজ ক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার আধিকারিক অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুই সংবাদ সংস্থার আধিকারিক কে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে ধৃত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ)-এ ধারায় কেন মামলা করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশকে ৩০ শে অক্টোবর এর মধ্যে শীর্ষ আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জবাব চেয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নেওয়া এবং চিনকে সমর্থন করে ভারত-বিরোধী কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’ সংবাদ পোর্টালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবর সকাল থেকে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

Advertisement

এর পর নিয়ম ভেঙে ১১৫ কোটি টাকা বিদেশি অনুদান নেওয়ার অভিযোগে নিউজ়ক্লিকের বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গত ৬ অক্টোবর প্রবীর এবং অমিত তাঁদের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পাশাপাশি, দিল্লি পুলিশ অসত্য অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে বলে অভিযোগ তুলে তা খারিজ করার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

গত ১৬ অক্টোবর প্রবীরের আইনজীবী কপিল সিব্বল জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানালে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে। দ্রুত শুনানির জন্য মামলাটি পাঠানো হয়ে বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চে। সিব্বলের পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার অমিতের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী দেবদত্ত কামত। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর পর গত ১০ অক্টোবর ১০ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে প্রবীর এবং অমিতকে।

ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীরকে বাদ দেওয়া এবং অরুণাচল প্রদেশকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো নিয়ে একটি ইমেল চালাচালিতে প্রবীর যুক্ত ছিলেন বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। আরও অভিযোগ, বিদেশ থেকে আসা টাকার জোরে কৃষক বিক্ষোভে ইন্ধন দিয়ে ভারতে অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন ধৃতেরা। এমনকি, একটি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৯-এর নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রেও প্রবীরের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ