খারিজি মাদ্রাসাগুলির অনুমোদন স্বেচ্ছাধীন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সরকারি মাদ্রাসাগুলির শিক্ষকের অভাব কবে পূর্ণ হবে প্রশ্ন বাঙালি মুসলিম সমাজের?
বাংলার জনরব ডেস্ক: পশ্চিমবাংলার কোরআনিয়া মাদ্রাসাগুলিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার উদ্যোগ নিল মমতা সরকার। এই রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া বাঙালি মুসলমানদের ভোটকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিরোধীরা দাবি করছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে নবান্ন থেকে জানিয়েছেন যে সকল মাদ্রাসার কর্মকর্তারা সরকারের কাছে তাদের মাদ্রাসার নাম নথিভুক্তিকরণ করতে চাইছেন তারা এই প্রকল্পে নথিভুক্তিকরণ করতে পারেন। এর ফলে পড়ুয়ারা বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবে বলে তিনি বলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে পড়ুয়ারা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবে মানে এটা কি? যে পড়ুয়াদের প্রতিদিন মিড ডে মিল দেয়া হবে। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা দেননি ।
তিনি জানিয়েছেন, “এইসব মাদ্রাসায় যারা পড়াশোনা করে তারা সরকারের অনেক সুযোগ সুবিধা পায় না। এটার জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য আমরা একটা কমিটি তৈরি করছি।” তিনি জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিক-সহ শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজনরা থাকবেন এই কমিটিতে। মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িতরাও থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় un aided মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই ধরনের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন কিন্তু সেই কমিটি দুর্নীতির কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত করা প্রয়োজন আছে বলে বিরোধীরা মনে করছে। একইসঙ্গে এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসাগুলিতে যেখানে শিক্ষক নেই, পরিকাঠামো উন্নত হয়নি, অনেক মাদ্রাসার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, এমনকি 169টি মাদ্রাসায় কম্পিউটার দিলেও সেখানে শিক্ষক দেওয়া হয়নি কম্পিউটারের। যার ফলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা জলে চলে গেছে। তা নিয়ে মমতা সরকার কেন নিরব রয়েছে এটাই এখন এই রাজ্যের সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলমানদের প্রশ্ন।