বিজেপির রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী! বিরোধী দলনেতা?
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ! দিল্লির রাজনীতিতে জোর খবর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রের পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন সেই কারণে এক পদ একনীতি মেনে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সুকান্ত মজুমদারকে সরানো হতে পারে। তবে এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সুকান্ত মজুমদার এখুনি রাজ্য সভাপতি পদ ছাড়ছেন না ছাড়তে চাইছেন না বলে সূত্রের খবর। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে রাজ্য সভাপতি হতে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত।
জানা গেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন সুকান্ত মজুমদার যেমন কেন্দ্রের মন্ত্রী হোক একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে থাকুক আর শংকর ঘোষ শিলিগুড়ির বিধায়ককে বিরোধী দলনেতার পথ দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে কিন্তু যোগ্যতার ভিত্তিতে বিরোধী দলনেতার পথ শুভেন্দুর পর পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক অশোক লাহিড় ীীীীর । অন্যদিকে যেমন সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি পদ ছাড়তে চাইছেন না একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী ও বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে চাইছেন না।
ফলে রাজ্য বিজেপিতে তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারা কথা বলার পরেও কোন সমাধান সূত্র এখনো পর্যন্ত বেরিয়ে আসেনি বলে মনে করা হচ্ছে। এ কথা ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এ রাজ্যের সংগঠনের যে বিশাল রদবদল করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সংগঠনিক নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ্যতা নিয়েও কোন প্রশ্ন নেই সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে উজ্জ্বল।
রদবদলের ফর্মূলায় আরএসএস (RSS) নেতৃত্ব চাইছেন, তাদের সংগঠনের লোক দিলীপ ঘোষকেই ফের বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হোক। কারণ, দিলীপের সভাপতিত্বের সময়েই লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বাংলায় গেরুয়া শিবির সবচেয়ে ভাল ফল করেছিল। তিনি সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর থেকে রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন ও পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে তার প্রত্যেকটিই বিজেপির ফল শুধু খারাপ হয়নি, ভোটের হারও যথেষ্ট কমেছে। স্বভাবতই আসন্ন লোকসভা ভোটে পদ্ম-শিবিরের কর্মীদের চাঙ্গা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের টার্গেট পূরণ করতে বঙ্গবিজেপির সভাপতি পদে আরএসএসের ভরসা দিলীপ ঘোষ। বস্তুত এই কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পরিবর্তে দিলীপকে রাজ্য বিজেপির শীর্ষে নিয়ে আসার সুপারিশ করছে আরএসএস।
