আসন সংখ্যার চেয়ে ১২ হাজার বেশি মনোনয়ন পত্র জমা শাসক দলের অনেকটা পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ! তৃতীয় স্থানে বাম, চতুর্থ স্থানে কংগ্রেস, বেশ কয়েক হাজার আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল
বাংলার জনরব ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে এখনো পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় কুড়ি হাজার আসন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রাজ্যের কুড়িটি জেলা থেকে যে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস এখনো পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৮১৭ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। যা সংখ্যার দিক থেকে প্রায় ১২ হাজার বেশি অন্যদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যে হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে তাতেই দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি ৫৬ হাজার ৩২১টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সিপিএম জমা দিয়েছে 48 হাজার 646 টি কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭৭৫০ টি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৬২৯৩ টি অন্যান্যদের মনোনয়ন জমা পড়েছে ১১৬৩৭ টি সবমিলিয়ে মোট মনোনয়নপত্র ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৪ টি ।
মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিকে অবশ্য বিজেপিই এগিয়ে ছিল। এর পরেই ছিল সিপিএম। কিন্তু শেষ দু’দিনে লাফিয়ে বাড়ে তৃণমূলের মনোনয়ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে তাতে শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি। মনোনয়ন শুরু হয় গত শুক্রবার। রবিবার মনোনয়ন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দেয় তাতে তৃণমূল জমা দিয়েছিল ৯,৩২৮টি। সেটাই বুধবার হয়ে যায় ৪৯,৪৯১। আর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সেই সংখ্যা হয়ে যায় ৮৫,৮১৭। প্রথম চার দিনে মোট মনোনয়ন জমা পড়ে ৯৩,৪২৫টি। আর শেষ দু’দিনে ১,৪৩,০৩০টি মনোনয়ন। যার বেশিটাই দিয়েছে তৃণমূল।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই মোট আসনের চেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। জেলা পরিষদে মোট আসন ৯২৮। দুই দলের মনোনয়ন যথাক্রমে ১,০৭৯ এবং ১,০৫৮। তৃণমূলের ক্ষেত্রে অবশ্য গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৬৩,২২৯। তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৩,২১১টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯,৭৩০। তৃণমূল জমা দিয়েছে ১১,৫২৭টি মনোনয়ন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে আসনের তুলনায় প্রায় ১২ হাজার বেশি মনোনয়নপত্র কেন জমা দিয়েছে শাসক দল। যদিও মনোনয়নপত্র বেশি জমা দেওয়াটা স্বাভাবিক কারণ এখনো পর্যন্ত স্কুটিনি হয়নি এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা অনেকটাই রয়েছে। সুতরাং শাসক দল যে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়ে আসলে নিজেদেরকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছে মাত্র।