জেলা 

এগরার বিস্ফোরনে নিহত ও আহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মানস ভূঁইয়া সহ তৃণমূলের ছয় প্রতিনিধি স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে! মানস বললেন, এটা রাম বামের কাজ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরনে নিহত এবং আহত পরিবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া সহ তৃণমূলের ছয় প্রতিনিধি।তৃণমূলের অভিযোগ, এটা বিজেপির কাজ। মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ আবার ‘রাম-বামের’ আঁতাঁতের অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি অশান্ত হতেই ‘কর্মসূচি’ বাতিল করে ফিরে যেতে হয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলকে।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কয়েক জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ওই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি করেন। পাশাপাশি, শুভেন্দুর অভিযোগ ওই বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ ‘তৃণমূলের বড় নেতা’। ওই কারখানায় শুধু বাজি নয়, বোমাও তৈরি হত। এবং পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সেগুলো তৃণমূলকে সরবারহ করতেন ভানু। এই ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফারও দাবি করেন।

Advertisement

শুভেন্দু খাদিকুল ছাড়ার কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ, সাংসদ দোলা সেন, সৌমেন মহাপাত্র। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতিও। কিন্তু বিজেপির একটানা স্লোগান শোনা যায় সেখানে। বিক্ষোভের জেরে আর এগোতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষুব্ধ মানস বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু রাউডি অশান্তি পাকানোর ছক কষছিল। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা ফিরে যাচ্ছি।’’

বস্তুত, শুভেন্দু ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার কিছু সময় বাদেই ঘটনাস্থলে হাজির হন পরিবেশ মন্ত্রী মানস-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে যখন গ্রামবাসীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় পিছন থেকে দলে দলে চলে আসেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে তুলতে মানসদের রাস্তা ঘিরে ধরেন তাঁরা। মানস ও দোলা ভিড় ঠেলে পাশে একটি বাড়িতে নিহত এবং আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বজনহারাদের পাশে আছেন। যাঁদের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মানস ও দোলা।

মানস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি আমরা। নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা দিতেই এখানে আসা। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার ফলিয়ে কিছু লোক চিৎকার করছিল। অকারণে শান্তি বিঘ্নিত করতে চেয়েছে ওরা। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। এটা বাম-রামের কাজ।”


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ