কলকাতা 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি বিজেপির! ২১ দিন ধরে ২০০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হিসাবে পথে নামছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা। এই কর্মসূচি ২১ দিনের হবে মূলত উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম এই একুশ দিনের সড়ক যাত্রার মধ্য দিয়ে যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এর নেতৃত্ব দেবে বিজেপির যুব মোর্চা। এই ২১ দিনের পদযাত্রার কর্মসূচিতে ২০০ টি বিধানসভা এলাকা পরিদর্শন করা হবে বলে দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ জানিয়েছেন।

এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের। সেই সঙ্গে রাজ্যের সব নেতা, সাংসদ, বিধায়কেরাও যোগ দেবেন এই পদযাত্রায়। দিন ক্ষণ ঠিক না হলেও পদযাত্রায় থাকার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

Advertisement

গত ২৫ মার্চ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কোচবিহার থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। উত্তরবঙ্গ শেষ করে সেই যাত্রা ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়েছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা। রাজ্য বিজেপি এখনও পদযাত্রা শুরুর দিন ক্ষণ ঘোষণা না করলেও জানা গিয়েছে, অভিষেকের সফর চলার মধ্যেই তা শুরু হবে। শেষ হবে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে প্রথমে সীমান্ত গ্রামে সম্পর্ক অভিযান চালায় যুব মোর্চা। এর পরে জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয় গ্রাম সম্পর্ক অভিযান। ৫০টি গ্রামীণ বিধানসভা এলাকার ৫০০টি গ্রামে যাওয়ার কর্মসূচি শেষ হলেই শুরু হতে চলেছে পদযাত্রা। ঠিক হয়েছে, মোট পাঁচ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা হবে। ২০০টি বিধানসভা এলাকার পাঁচ হাজার গ্রামে যাওয়ার লক্ষ্য। তবে কোনও বড় সমাবেশ কোথাও হবে না। ছোট ছোট আকারে ‘হাট সভা’ ও ‘পঞ্চায়েত সভা’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ে গ্রামে বিজেপির সমর্থনে দেওয়াল লিখন এবং বাড়ি বাড়ি সম্পর্কের কর্মসূচিও চলবে। এর জন্য ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।

এই কর্মসূচি কি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির অনুকরণ? এর উত্তরে রাজ্য বিজেপির যুব সভাপতি ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘তা কেন? আমরা তো অনেক আগেই গ্রাম সম্পর্ক অভিযান শুরু করেছি। তার পরে তো তৃণমূলের কর্মসূচি।’’

ইন্দ্রনীল আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলে যেটা চলছে, সেটা আসলে দলের পরিস্থিতি সমীক্ষা। দুর্নীতি নিয়ে মানুষের মনোভাব বোঝার চেষ্টা। সেটাও আবার পরিচালনা করছেন ভাড়া করা পেশাদাররা। আর আমাদের কর্মসূচির প্রাণ হবেন আমাদের কর্মীরাই।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ