আন্তর্জাতিক 

সুপ্রিম কোর্টের পর হাইকোর্টেও স্বস্তি পেলেন ইমরান খান, তোষাখানা মামলায় স্থগিতাদেশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল নিয়ম মেনে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে। আজ শুক্রবার তোষাখানা মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টও ইমরান খান কে জামিন দিয়েছে একই সঙ্গে এই মামলার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ।

পাশাপাশি, আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁকে দু’সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান নিজেই শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবাদেন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সরকারি তোষাখানা থেকে নিয়ম ভেঙে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার আইনি প্রক্রিয়াও শুক্রবার স্থগিত রাখতে বলেছে আদালত। তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান মার্চ মাসে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরান জামিনের আবেদন জানাতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। সে সময় আদালত চত্বর থেকেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে পাক সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল জানিয়ে দেন, বিচারবিভাগের দারস্থ হতে যাওয়ার সময় কোনও অভিযুক্তকেই আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা যায় না। এর পরেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, ইমরান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খান দম্পতির ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাব’ (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) গত ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। পাকিস্তান সরকারের অভিযোগ, তার একাধিক বার নোটিস পাঠানো হলেও ইমরান তাতে আমল দেননি।

তবে এ কথা ঠিক প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তার কাছে হার মেনেছে বর্তমান প্রশাসক। ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর যেভাবে পাকিস্তান জ্বলে উঠেছিল সুপ্রিম কোর্ট যদি হস্তক্ষেপ দ্রুত না করতো তাহলে মনে হয় আরো বড় কিছু অঘটন ঘটতে পারতো। পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ইমরান খানকে সামনে রেখে যে গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই গণ আন্দোলনের প্রভাব সেনা দফতরে গিয়ে পড়ে এবং সেনা আধিকারিক এর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয় একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বোমা বর্ষণ করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর পাকিস্তান এর বর্তমান প্রশাসক যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত মুক্তি দেওয়ার ফলে সমগ্র পাকিস্তানে এখন শান্তি ফিরে এসেছে। পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এত জনপ্রিয় কোন জননেতাকে দেখা যায়নি। এ কথাও ঠিক বর্তমান শাসক দল এতটাই অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে যে এ বছর পাকিস্তানের মতো ইসলামিক রাষ্ট্র থেকে একজনও সরকারিভাবে হজে যাওয়ার সুযোগ পেল না। এর ফলে আগামী দিনে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা যে আরও বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ