কলকাতা 

মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চ ক্রমশই বিরোধী দলের রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হচ্ছে! এতে দাবি আদায় কঠিন হবে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন আজ শনিবার ১০০ দিনে পা দিয়েছে। এই উপলক্ষে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা এক মহা মিছিলের ডাক দেয় এই মহা মিছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ির পাশ দিয়ে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহার্ঘ ভাতার জন্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চ কার্যত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে।

রাজ্যের সব বিরোধী দল এই মঞ্চে হাজির হয়েছে। বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী সোনালী গুহ, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান এই মঞ্চে হাজির হন। আর একে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানা পোড়েন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যারা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা কি আসলে নিজেদের দাবিতে আন্দোলন করছেন নাকি বিরোধীদলকে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন?

Advertisement

মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতাদের মনে রাখা উচিত আন্দোলনের মঞ্চ যদি রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়ে যায় তাহলে দাবি আদায় কঠিন হয়ে পড়ে। বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে আব্দুল মান্নান সুজন চক্রবর্তী কৌশতভ বাগচীরা আসবেন চলে যাবেন। তাতে দাবি আদায় অধরা থেকে যাবে। আর এতে সুবিধা হবে শাসকদলের ।শাসক দল বলতে পারবে যে বিরোধীরা চক্রান্ত করে এই আন্দোলন সংগঠিত করেছে।

তার চেয়েও বড় কথা হলো আন্দোলন মঞ্চকে ব্যবহার করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যেভাবে সরকারি কাজকর্ম কে সরকারি কর্মচারীদের বয়কট করতে পরামর্শ দিচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারকে নানাভাবে ভ্যেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উড়তে পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলতে থাকেন সরকারি কর্মচারীদের এই আন্দোলন আসলে তা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সবদিক মিলিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা দিন দিন দিশাহীন হয়ে পড়ছে।

এই আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক হীন মঞ্চে পরিণত করতে হবে। প্রয়োজন হলে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ কে এই আন্দোলনের সংযুক্ত করতে পারলে তাহলে অনেকটা ভালো হতো বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ