জেলা 

নদীয়ার হাঁসখালিতে চায়ের দোকানে খুন হয়ে গেল তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতা !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজ্য জুড়ে অশান্তি এবং খুনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সকালেই খুন হয়ে গেল এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হাঁসখালিতে। নিহত তৃণমূল নেতার নাম আমোদ আলী বিশ্বাস। তিনি তিনি ওই এলাকার রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।

নদিয়ার হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আমজাদ আলি বিশ্বাস৷ এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বাজার করার জন্য স্থানীয় রামনগর বড় চুপড়িয়া বাজারে আসেন তিনি। সেখানেই একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি৷ তখনই সেখানে আচমকা হাজির হয় আট থেকে দশ জনের একটি দুষ্কৃতীদের দল । কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা।

Advertisement

গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আমোদ আলি বিশ্বাস। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়৷ দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় তাদের বাঁধা দেওয়ারও সাহস পাননি কেউ। এর পরেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।

ওই তৃণমূল নেতাকে কেন খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ রাজনৈতিক কোনও দ্বন্দ্ব নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসখালি থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ নাকা তল্লাশি শুরু করেছে ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকেও দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহহ করা হচ্ছে৷ আশেপাশে কোনও সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা ছিল ।

কয়েক মাস ধরে রাজ্যজুড়ে খুনের সিলসিলা জারি রয়েছে। এ পর্যন্ত যতগুলো তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে তাদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু পরিবারের। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য সংখ্যালঘুদের শহীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কোন প্রতিদান কি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দেবেন নাকি শুধু রক্তই দিয়েই যাবেন এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ