কলকাতা 

শিশুর যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা পিকনিক গার্ডেন এলাকায়, অবরোধ চলছে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :শিশুকে যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে।রাস্তা আটকে চলছে বিক্ষোভ। নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যেরা ছাড়াও রয়েছেন বহু স্থানীয় মানুষ। পিকনিক গার্ডেন-হাওড়া রুটের একটি বাস আটকে সেটির ছাদে চেপে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বুকে পোস্টার লাগিয়ে এবং চিৎকার করে স্লোগান দিতেও দেখা যায় তাঁদের। অনেকেই রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদে সামিল হন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শিশুর মৃত্যুতে দায়ীরা যতক্ষণ না উপযুক্ত শাস্তি পাবে ততক্ষণ তাঁরা লাগাতার প্রতিবাদ করতে থাকবেন। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে আটক দুই স্থানীয় বিক্ষোভকারীর মুক্তির দাবিতেও তাঁরা সরব।

পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার রাতেও তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ তৎপরতা দেখালে শিশুটিকে বাঁচানো যেত বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। রবিবার রাতে তিলজলা থানা লক্ষ্য করে ঢিলপাটকেলও ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ এলাকা খালি করার জন্য লাঠি নিয়ে বেরোলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই স্থানীয়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ অভিযোগ পাওয়ার পরই শিশুর খোঁজ শুরু হয়। মূল অভিযুক্তের আবাসনের ৩২টি ফ্ল্যাটে শিশুর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালায় তারা। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকেই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।

তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, সন্তান লাভের আশায় তান্ত্রিকের কথা শুনে ওই সাত বছরের শিশুকে খুন করেছেন নিঃসন্তান আলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তান্ত্রিককে ধরতেও বিহারে কলকাতা পুলিশের একটি দল পাঠানো হতে পারে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সাত বছরের মৃত শিশুকে স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার পর তার হাত পা বেঁধে বস্তার ভিতর ফেলে রাখা হয়েছিল। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে শিশুটিকে ফ্ল্যাটের নীচে আবর্জনা ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার পর সে আর ঘরে ফেরেনি। অনুমান, উপরে ওঠার আগেই তাকে ঘরে টেনে নেন দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অলোক। তার পর ঘরের ভিতর তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ