প্রচ্ছদ 

দলের ভাঙ্গন রুখতেই কী বিধানসভায় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপির অন্যতম জাতীয় নেতা এবং আরএসএসের প্রচারক ও রাজ্য বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক যুগ্ম সম্পাদক সতীশ ধন্ড আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই রাজ্য বিধানসভায় এসে উপস্থিত হন। বিজেপির সংগঠনকে পেছন থেকে যারা পরিচালনা করেন তাদের মধ্যে সতীশবাবু অন্যতম তাই তার বিধানসভা পরিদর্শনকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিজিটাল আনন্দবাজার সূত্রে খবর বিধানসভায় এসে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বিজেপি দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন একই সঙ্গে বিজেপির তিন হেভিওয়েট বিধায়কের সঙ্গেও তিনি আলাদা করে বৈঠক করেন।

Advertisement

বিরোধী দলনেতার ঘরে রুদ্ধ দ্বার কক্ষে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে না বললেও সূত্রের খবর বিজেপি দলের বিধায়করা যেভাবে দল ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিচ্ছেন তা নিয়েই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এজন্যই এদিন তিনি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের কোন বিধায়ক যাতে বেরিয়ে না যায় সেদিকেই লক্ষ্য রাখার জন্য সতীশ ধন্দ এই বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রশ্ন উঠেছে এইভাবে বৈঠক করে কি বিজেপি দলের ভাঙ্গন রক্ষা যাবে? কারণ সম্প্রতি একজন বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরে তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের যুব নেতা রীতিমতো প্রকাশ্যে বলেছেন দরজা খুলে দিলে এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কি করণীয় তা নিয়েই হয়তো আড়ালে থাকা এই নেতা বিধানসভায় এসে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

সতীশ এর আগে ছিলেন গোয়ার দায়িত্বে। সেখানে দলকে ক্ষমতায় আনার পিছনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় আশাভঙ্গ হওয়ার পরে ২০২২ সালের ২১ জুলাই বাংলার দায়িত্ব পান সতীশ। বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে এখন সেই দায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে যোগ দেন সতীশ। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে আড়ালে থেকে কাজ করা নেতাদের মধ্যে সতীশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ