প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি!
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি! আর এই পুরো বিষয়টি হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতে। সাহায্য করতেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষও। কাজে লাগানো হয়েছিল বিশেষ কিছু এজেন্টদেরও। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল আদালতে এমনটাই দাবি করলেন তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিটে দুর্নীতি করতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’। তদন্ত করার সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
আদালতে ফিরোজ জানান, ওএমআর শিটে অনেকগুলি উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তর বাছার জন্য যে গোল জায়গাগুলি থাকত সেখানেই এই ‘গুপ্ত সঙ্কেতের’ ব্যবহার হত। নির্দিষ্ট দু’টি প্রশ্নের জন্য ওএমআর শিটে গোল শূন্যস্থান পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হত। ফাঁকা রেখে দেওয়া হত বাকি উত্তরপত্র। আর ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেখেই চাকরি দেওয়া হত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির আইনজীবী জানান, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এই ভাবেই নিয়োগ হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।
বর্তমানে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযু্ক্ত মানিক এবং কুন্তল দু’জনেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি ছিল মানিকের। আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা বিপদের মুখে পড়েন পলাশিপাড়ার অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় পড়ে যান মানিক। মুখে-বুকে চোটও পান তিনি।
সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার