কলকাতা 

পতাকা বিড়ি কোম্পানির অফিস কারখানা ও কলকাতা অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের অরঙ্গাবাদে পতাকা বিড়ির অফিস ও কারখানায় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন।

মুর্শিদাবাদের পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের মূল বিড়ি কারখানা ঘিরে রেখেছেন সিআইএসএফ জওয়ানেরা। ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। ভিতরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁরা ঢুকতে পারছেন না ভিতরে। এ নিয়ে হইচই বিড়ি কারখানার শ্রমিকদের। অন্য দিকে, কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার মূল অফিসেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা।

বিড়ির মুন্সীদের দাবি, প্রায় ২ কোটি কাঁচা বিড়ি আটকে রয়েছে কারখানায়। আয়কর বিভাগ অনুমতি না দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাকি সেগুলি ‘নষ্ট’ হয়ে যাবে।যদিও আয়কর দফতরের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপের খবর সামনে আসেনি।

বুধবার ৬টি গাড়িতে অরঙ্গাবাদে পৌঁছছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সকাল ৮টা নাগাদ পতাকা বিড়ির মূল অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। তখন দেখা যায়, দুই সিআইএসএফ জওয়ান একটি বড় লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে কারখানায় ঢুকছেন। তার ভিতরে কী আছে বা কী কারণে আনা হয়েছে তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখার কাজ করছেন আধিকারিকরা।

এর আগে জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা বিড়ি কারখানার মালিক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। এই রাজ্যে পতাকা বিড়িকে অন্যতম বড় কোম্পানি বলে মনে করা হয়। এই বিড়ি কোম্পানির অফিস কারখানা এবং কলকাতার অফিসে আয়কর দফতর তল্লাশি চালনোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিড়ি শ্রমিকরা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ