দেশ 

স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল গুজরাটের আদালত

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: স্বঘোষিত হিন্দু ধর্ম গুরু আশারাম বাপুকে আজ মঙ্গলবার গুজরাটের এক আদালত ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।এইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন বিচারক। উল্লেখ্য, এক দশক আগের ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ‘গডম্যানে’র।

স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে সাজা দেওয়ার আগে গান্ধীনগর আদালত (Gandhinagar Court) মন্তব্য করে, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ‘অপরাধে অভ্যস্ত’। ফলে যাবজ্জীবন সাজাই তাঁর জন্য উপযুক্ত শাস্তি।  ২০১৩ সালের ধর্ষণের অপরাধে আজীবন কারাবাসের সাজার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয় গডম্যানের। দায়রা আদালতের বিচারক ডি কে সোনি এদিনের শুনানি শেষে বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ কঠিন সাজার চূড়ান্ত আদেশ দেন।

১০ বছর আগে সুরাটের (Surat) বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, মোতেরার আশ্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেন আশারাম। ওই মামলায় আশারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই গান্ধীনগর আদালত (Gandhinagar Court) সোমবার দোষী সাব্যস্ত করে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে। মঙ্গলবার যার সাজা ঘোষণা হল।

এছাড়াও ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আশারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তার পর থেকে যোধপুরেই জেলবন্দি রয়েছেন আশারাম। এবার আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল তাঁর। উল্লেখ্য, পরিবারের সদস্য ও শিষ্যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগ থাকলেও গান্ধীনগর আদালত তাঁদের বেকসুর ঘোষণা করেছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ