কলকাতা 

আনিস খান সুবিচার না পেলে নবান্নকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কাসেম সিদ্দিকী, এখন আবার নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে কলকাতা অচল করার ডাক কেন ? নেপথ্যে রহস্য কি ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম: নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি পর অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে, ফুরফুরা শরীফ থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী। অবশ্য কাশেম সিদ্দিকী এর আগেও আনিস খানের মৃত্যুর পর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের ১৪ তলা থেকে নিচে নামিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন! আনিস খানের সুবিচার না হলে।

আনিস খানের পরিবার এখনও সুবিচার পায়নি এখনো শাস্তি হয়নি দোষী পুলিশ অফিসারদের। আনিসের মৃত্যু রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী টিম কি রিপোর্ট পেশ করেছে হাইকোটে, তা এখনো আনিসের পরিবার পায়নি বলে অভিযোগ। পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী এই ব্যাপারে আর কোনো উচ্চবাচ্য করেননি।

Advertisement

নিন্দুকেরা বলে থাকেন এই পীরজাদা নাকি নবান্নের চোদ্দ তলায় গিয়ে সেটিং করে এসেছেন! সেই পীরজাদা যখন নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন। তখন প্রশ্ন উঠে বইকি। ইনি আসলে কে? তিনি সকালে এক কথা বলেন বিকেলে অন্য কথা বলেন! পশ্চিমবাংলার বাঙালি মুসলিম সমাজের সমস্যাটা এখানেই। পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীকে মমতার পুলিশ জেলে ভরে কার্যত অস্বস্তিতে রয়েছে এই অস্বস্তি থেকে  মুক্তি পেতে কি কাসেম সিদ্দিকীকে ঢাল করছে তৃণমূল কংগ্রেস, এটা স্পষ্ট বুঝতে হবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে!

সুতরাং পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকীর হুঁশিয়ারিকে কোনভাবেই পাত্তা দেওয়া যায় না এটা আরেকটি কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কথা ঠিক নওশাদ সিদ্দিকী যতদিন জেলে থাকবেন ততদিন তার টিআরপি বাড়তে থাকবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। উল্টো দিকে বললে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে নতুন করে একটি সংখ্যালঘু নেতা তৈরি করে গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ যদি নওশাদ সিদ্দিকী কে গ্রেফতার না করতো তাহলে তার কোন জনপ্রিয়তা বাড়তো না।

অতএব ফুরফুরা শরীফের পীরজাদের মনে রাখা উচিত কোন রকম আগ বাড়িয়ে আন্দোলনের ডাক নয় বরং ধৈর্য ধরুন ফুরফুরা শরীফ থেকেই বেরিয়ে আসবেন আগামী দিনের নেতৃত্ব। এটা ফুরফুরা শরীফকে মনে রাখতে হবে। নওশাদ সিদ্দিকীকে যে কায়দায় যেভাবে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাতে এই বাংলার সাধারণ নাগরিকদের মনে আঘাত লেগেছে। স্বাভাবিকভাবে তিনি জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠবেন।

সুতরাং কাশেম সিদ্দিকীর কথার কোন মূল্য নেই আর তার কথার কোন মূল্য দেয়া উচিত নয় বলে আমার মনে হয়েছে । ফুরফুরা শরীফের অন্যান্য পীরজাদারা তার কথার কোন মূল্য দেবেন বলে আমার মনে হয় না তবে কথা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদাদের মনে রাখা উচিত মমতার পুলিশ গ্রেফতার করে আসলে নওশাদ সিদ্দিকীর পৌষ মাস করে দিয়েছেন আর মমতার সর্বনাশ  ডেকে এনেছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ