জেলা 

খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধানকে বুধবারের মধ্যে সরিয়ে দিতে হবে, না হলে অনাস্থা আনা হবে, শাসক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে চিঠি ২০ কাউন্সিলের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক :  খড়্গপুর পুরসভার তৃণমূলের পুরবোর্ডের  পুরপ্রধানকে আগামী বুধবারের মধ্যে সরিয়ে দিতে হবে। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে বলে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বদের কাছে লিখিত ভাবে জানালেন তৃণমূলেরই ২০ কাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে, পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেলে ইস্তফা দেব।’’

চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন প্রদীপ। তার আগে ২০১৫ সালে পুরভোটে জয়ী হয়ে প্রথম বার পুরপ্রধান হন। পরে ২০১৯ এ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের পরও তিনি এই পদে ছিলেন। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় (হিরণ) চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তার পরও অবশ্য খড়্গপুর পুরসভার প্রশাসক হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অভিযোগ, সিআইসিদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের কোনও গুরুত্বই নেই। কোনও পরামর্শ ছাড়া কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রদীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন ২০ তৃণমূল কাউন্সিলর।

খড়্গপুর পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। পুরবোর্ড গঠনের সময় এবং পরে ১ সিপিআই, ১ বিজেপি এবং ১ নির্দল কাউন্সিলর ছাড়াও ২ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২০ জনই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছেন উপ-পুরপ্রধান তৈমুর আলি খান। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। দলের ব্যাপার দল সিদ্ধান্ত নেবে।’’ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিতা পাণ্ডে বলেন, ‘‘ওঁর কাজে আমরা কেউই খুশি নই।’’

গত সপ্তাহের বুধবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা এবং পরের দিন জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানান কাউন্সিলররা। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘এপ্রিল মাস থেকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সঠিক ভাবেই দায়িত্ব পালন করছি। সমস্যা সমাধানের কাজ ছাড়াও বিরোধী দলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তাঁর নির্দেশেই দায়িত্ব পালন করছি।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘অনাস্থা আনা মানে মমতাকে অসম্মান করা।’’

এ নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘খড়্গপুর পুরসভায় একটা সমস্যা চলছে। দলকে জানিয়েছেন কাউন্সিলাররা। রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে যে নির্দেশ আসবে তা কাউন্সিলর বা পুরপ্রধানকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ