বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না কিংবা অবস্থান বিক্ষোভ করা যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না কিংবা অবস্থান বিক্ষোভ করা যাবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সোমবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আদালতে আসেন। তাঁর অভিযোগ ২৩ নভেম্বর অফিসে ঢিল ছোঁড়া হয়। পুলিশকে জানানোর পরেও কোন কাজ হয়নি। রাজাশেখর মান্থা ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে ফেলা এবং তিনজন পুলিশকর্মীর নিরাপত্তার কাজ দেখভালের নির্দেশ দেন। তা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল লাইব্রেরির বাইরে ধরনা চলছে। ঘেরাও উঠেছে শনিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা চলছে। আদালত অবমাননার মামলা করেননি কেন?” উপাচার্যের আইনজীবী বলেন, “এরা আলাদা আন্দোলনকারী তাই অবমাননার মামলা করা হয়নি।” এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, মান্থার নির্দেশ বহাল থাকবে। আলাদা কিছু বলার থাকলে নতুন করে জনস্বার্থ মামলা করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই চরমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন উপাচার্য। যাকে খুশি তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজ করা, বদলি করা, কোনও কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া যেন রোজনামচায় পরিণত করেছেন। বাদ যাননি পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরাও। কাউকে হস্টেল থেক বহিষ্কার, তো কাউকে সাসপেন্ড করে শিক্ষাঙ্গন থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর অফিসের সামনে যান পড়ুয়ারা। উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের দিকে কার্যত ধেয়ে আসেন। পড়ুয়ারাও তাঁদের দাবি জানাতে নাছোড়বান্দা। উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের উপর ‘গুলি চালানো’রও নিদান দেন বলেই অভিযোগ। এরপর পড়ুয়া ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
সেই ঘটনার পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের বাসভবনের সামনে মঞ্চ করে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা।
