কলকাতা 

Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্ত হিসেবে যা বলছেন তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কার সুবিধা করছেন ? তৃণমূল নেত্রী একটু ভাবুন! নেপথ্যে রহস্য কী?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার হওয়া টাকা কার? সংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর টাকা নেই। কার টাকা ? এই উত্তরে তিনি বলেন,সময় বলবে। পার্থের এই বক্তব্য প্রচার হওয়ার পরেই তৃনমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘তাঁর টাকা নেই, এ কথা এতদিন বলেননি কেন পার্থ?’’ শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ নামের বাড়ি নিয়েও পার্থকে কটাক্ষ করলেন কুণাল।

পার্থকে বিঁধে কুণাল বলেছেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দলের একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রথম যখন সুযোগ পেলেন, তখন চক্রান্ত, নির্দোষ বললেন না। হঠাৎ গত দু-তিন দিন ধরে তিনি চক্রান্ত, আমার টাকা নয়— এ সব বলছেন। যেখানে দলের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, সেখানে পার্থদা কবে কী বলছেন, সে নিয়ে বলব না কিছু। কখনও হয়তো বলবেন আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি না নিজেই জানি না। বলবেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনি না। ওঁর যা বক্তব্য আদালতে বলুন। টাকা উদ্ধার হচ্ছে, অপার ছবি, আঙুলের ছাপ, দলিল বেরোচ্ছে, দুনিয়ার জিনিস বেরোচ্ছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি প্রথম দিন কেন বলেননি?’

Advertisement

স্কুলের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে পার্থর গ্রেফতারি ও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে একের পর এক টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরব হয়েছিলেন কুণাল। পার্থকে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ও দলের সমস্ত পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন।

তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব রচনা হওয়ার পরই জোকার হাসপাতালে ঢোকার মুখে গত শুক্রবার পার্থ বলেন, ‘‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ কিন্তু কে ষড়যন্ত্র করেছেন? কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন? এ নিয়ে অবশ্য খোলসা করেননি পার্থ। ফলে তাঁর এই ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ নিয়ে জল্পনা চলে রাজ্য রাজনীতিতে। সেদিনের পর রবিবারও ষড়যন্ত্র নিয়ে যে ভাবে সরব হলেন ইডির হেফাজতে থাকা পার্থ, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ‘আমার কোনও টাকা নেই’ বলে যে দাবি করলেন পার্থ, তা তাৎপর্যপূর্ণ।

পার্থর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “পার্থর কোনও বক্তব্যকেই আমরা সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। ওঁর একার কাজের ফলে দল বদনাম হয়েছে। তাই ওঁর কথার কোনও গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই। তাছাড়া ওঁর এখন যা বলার আছে কোর্টে বলুক। উনি এখন ইডির হেফাজতে রয়েছেন। তাই ওঁর কথার কোনও মূল্য নেই। আইন বলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির কোনও বক্তব্যের কোনও মূল্য থাকে না।’’

তবে প্রশ্ন উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন অভিযুক্ত সে যেকোনো মন্তব্য করতেই পারেন, তাহলে তা তৃণমূল মুখপাত্র কেন দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? এ নিয়ে জনমানষে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কুনাল ঘোষ কী তৃণমূলকে আরো বেশি করে রাজ্যের মানুষের কাছে অপ্রিয় করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন? কুনালের এই ধরনের বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতেই আঘাত দেওয়া হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ