কলকাতা 

Mahua Moitra: মা কালি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর টুইটারে তৃণমূলকে আনফলো করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, তবে মমতাকে ফলো করছেন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সম্প্রতি এক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্য ঘড়ে দেশ জুড়ে হৈচৈ পড়ার পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য কে সমর্থন করছে না দল। আজ বুধবার সকালে হঠাৎই তৃণমূলের টুইটার কে আনফলো করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘কালী প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন, তার দায় কোনও ভাবেই নিচ্ছে না তৃণমূল।’ তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সর্বভারতীয় তৃণমূলের ওই টুইটার হ্যান্ডেলটিকে অনুসরণ করা বন্ধ করলেন মহুয়া।

তবে তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও টুইটারে ‘ফলো’ করছেন। যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন দলের নেতাদের একাংশ। তাঁদের মতে, মহুয়া এই বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, তিনি দলে একমাত্র মমতাকেই মান্য করেন।

যদিও বুধবার দুপুর পর্যন্ত মহুয়া ওই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। মোবাইলে বার্তারও জবাব আসেনি।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সোমবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে দেবী কালীকে নিয়ে ওই ছবির পোস্টার সংক্রান্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই একটি মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তার পরেই তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

বিজেপি নেতারা মহুয়ার ওই বক্তব্যকে নেটমাধ্যমে ভাইরাল করে তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। জবাবে মহুয়া টুইট করে লেখেন, ‘আমি কখনওই কোনও চলচ্চিত্রের কোনও পোস্টারের সমর্থন করে ধূমপান শব্দের উল্লেখ করিনি। তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন সেখানে দেবীকে প্রসাদ হিসেবে কী ধরনের খাবার বা পানীয় দেওয়া হয়।’

মহুয়া লিখেছিলেন, ‘ আমি সঙ্ঘীদের বলতে চাই অসত্য বলে আপনারা ভাল হিন্দু হতে পারবেন না।’ তবে এর পর সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেই মহুয়ার মন্তব্যের নিন্দা করা হয়। একটি টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘তৃণমূল ওই মন্তব্য সমর্থন করে না বা মান্যতা দেয় না। সর্বভারতীয় তৃণমূল এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করছে।’

এই ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতেই বুধবার তৃণমূলকে দলের সাংসদ মহুয়া ‘আনফলো’ করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।

মহুয়া অভিযোগ করেছিলেন, ওই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের নেতারা তাঁর নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই বিতর্কে টানার চেষ্টা করছেন। তবে, তৃণমূলের টুইটের পরও একটি টুইট করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। সেখানে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা, ‘সত্যমেব জয়তে’।

তথ্যসূত্রডিজিটাল আনন্দবাজার।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ