অন্যান্য দেশ 

তাজ-উল-মসজিদ সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক/মোহাম্মদ সাদউদ্দিন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন : মোগল সম্রাট শাহজাহান নির্মিত জুম্মা মসজিদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি তাজ-উল-মসজিদ এশিয়ার আরেক গর্ব ও এশিয়ার অন্যতম বড় মসজিদ। আরো একটি কারণে এই তাজ-উল-মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সত্তরের দশকে নির্মিত এই মসজিদ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে।আর এই মসজিদ নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নকে প্রতিষ্ঠা করেছে যা সত্যিই নজরকাড়া ঘটনা।ইসলাম নারীদের যে আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কথা বলে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হল এই তাজ-উল-মসজিদ।এই ঐতিহাসিক ইমারতটির প্রতিষ্ঠাতা জাহান নামে এক মহিলা যিনি ভোপালের নবাব ছিলেন।প্রথম দফায় ১৮৪৪-১৮৬০, দ্বিতীয় দফায় ১৮৬৮-১৯০১ সাল পর্যন্ত ভোপালের নবাব ছিলেন। কিছুদিন অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় মা ভোপালের সিকান্দার বেগম কিছুদিনের জন্য শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মসজিদটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি হতে থাকে তাঁর কন্যা সুলতান জাহান বেগমের অধীনে।তিনি ১৯০১-১৯২৬ পর্যন্ত ভোপালের শাসক ছিলেন। তৎকালীন মেয়েদের জন্য আলাদা মসজিদ করা খুব সহজ ছিল না।যদিও একসময় মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তো। এই মসজিদ পরিপূর্ণভাবে নির্মাণ করে তিনি বিশেষ অবদান রেখে যান।একজন মহিলা নবাব দ্বারা এতবড় মসজিদ নির্মাণ সুলতান জাহান বেগমকে ইতিহাসের পাতায় আজো স্মরণীয় করে রেখেছে। তখনকার দিনে সুলতান জাহান বেগম নারী ক্ষমতায়নে এই মসজিদটিকে বিশেষ কাজেও লাগান।ভোপালের নবাবরা নারী ক্ষমতায়নে কতখানি উপরে ছিলেন।

ভোপালের এই ঐতিহাসিক তাজ-উল- মসজিদের উপরতলা ব্যবহার করা হয় নামাজের জন্য।একতলা ব্যবহার করা হয় দোকান বা ডাক্তারের ক্লিনিক হিসাবে।ঔষধের দোকান ও পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।এই মসজিদটি ভোপালের সরকারি হাসপাতালের কাছেই।অনেক দোকান অমুসলিমদের অধীনে।কত উদার মসজিদ কর্তৃপক্ষ। দৃষ্টিভঙ্গী কত উদার। অনেক গরীব অমুসলিম মেয়েদের বিয়েও পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন। ইতিহাসের পাতায় এই মসজিদ চির অমর হয়ে থাকবে।এটি একটি উদাহরণ হিসাবে বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Advertisement

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ