দেশ 

Prophet Row: মুসলিম বিশ্বের চাপে নরেন্দ্র মোদী সরকার আপাতত ঘৃণা-ভাষণ বিতর্কে ‘কড়া অবস্থান’-এর পথে, নূপুর-জিন্দালের বিরুদ্ধে এফআইআর! কিন্ত বিদ্বেষ কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন মোদী-শাহরা !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : হজরত মুহাম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার জন্য সমগ্র মুসলিম দুনিয়া একজোট হয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে । মোদী সরকার আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার সমূহ চেষ্টা করার পরেও মুসলিম দেশগুলি কোনো কথা শুনতে রাজি হচ্ছে না । উপরন্ত দিন যত যাচ্ছে ততই পরিস্থতি আরও ঘোরালো হচ্ছে । গতকাল পর্যন্ত খবর মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রায় দেড় কোটি ভারতীয় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে । অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে । বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হচ্ছে অনেকেই । ভারতীয় পণ্য রাখা ৫৭টি মুসলিম দেশে কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে গেছে । যেসব মলে ভারতীয় পণ্য ছিল তারা তা সরিয়ে ফেলেছে । রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে মল সংস্থাগুলি দাবি করছে ভারতীয় পণ্য তারা রাখছে না । এই পরিস্থিতি যদি আর এক মাস চলে তাহলে ভারতের অর্থনীতি যে ভেঙে পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে তৎপর হয়েছে । হজরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করার দায়ে শাসক দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ । তবে একই সঙ্গে যে সাংবাদিক এই ঘটনাকে আরবিতে তরজমা করেছিলেন সেই সাংবাদিক শাবা নকভি এবং মাওলানা মুফতি নাদিমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ । এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য আর সংগঠিত প্রতিবাদ জানাতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।

Advertisement

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আইএফএসও) ইউনিট’-এর ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্র জানিয়েছেন, পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নূপুরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। দ্বিতীয় এফআইআরে নাম রয়েছে নবীন, শাবা-সহ আট জনের। হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র পূজা শাকুন পাণ্ডেও রয়েছেন সেই তালিকায়। নেটমাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অনিলকুমার মীনা, গুলজার আনসারি, আবদুর রহমানের নামে দায়ের হয়েছে এফআইআর।পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জাতীয় মুখপাত্র নূপুর এবং দিল্লির নেতা নবীনকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। কিন্তু সেই শাস্তির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি সমর্থকদের একাংশ। ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘নূপুর নবীন কো ওয়াপস লো’ প্রচার। বিজেপি সমর্থক অনেকেই টুইটারে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দলের শীর্ষনেতৃত্ব কেন নূপুর-নবীনের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের পদক্ষেপে স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে মুখে পড়া নরেন্দ্র মোদী সরকার আপাতত ঘৃণা-ভাষণ বিতর্কে ‘কড়া অবস্থান’ বজায় রাখতে চাইছে।

কিন্ত মোদী শাহ কী পারবেন যে বিদ্বেষের আগুণ ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তাকে আটকাতে । নূপুর শর্মা প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে একটি বিশেষ ধর্ম আক্রমণ করে চলেছে । কিন্ত তারপরেও বিজেপি দল তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করেনি । বরং আরও উৎসাহ প্রদান করেছে । দলে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে ।এখন দেশ-বিদেশে চাপের মুখে নূপুর শর্মা বহিস্কার করার পর স্বাভাবিকভাবেই দলের নিচু তলা থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তাই মোদী-শাহরা আট বছর ধরে যাকে নিয়ন্ত্রণ না করে ঘুরিয়ে প্রশয় দিয়েছে আজ চাপের তাকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কাজ ।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ