জেলা 

Mamata Banerjee : ‘‘এই ডিএম এসপিদের সঙ্গেই কাজ করতে হবে, এর থেকে বেশি কিছু আর বললাম না, হাটে হাঁড়িটা ভাঙলাম না’’ বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা সভাধিপতিকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রী কেন এই মন্তব্য করলেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরী : বাঁকুড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকের সরাসরি জেলা সভাধিপতিকে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন কার্যত জেলা সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন হাটে হাঁড়িটা ভাঙলাম না।

সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার ডিএম এর সঙ্গে জেলা সভাধিপতির বিতর্ক শুরু হয়। এমনকি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ডিএমের বিরুদ্ধে পোস্টার পরে। সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে সরাসরি বাঁকুড়া জেলা সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু কে উদ্দেশ্য করে মঙ্গলবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন,‘‘ডিএমের বিরুদ্ধে যদি কূটকচালি কর, আমি সব ভেঙে দেব।’’

সম্প্রতি বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জেলার সভাধিপতি। জেলাশাসকের নামে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়েছিল। সেই বিতণ্ডার খবর পৌঁছেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও। জেলাশাসককেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সভাধিপতি-সহ অন্যদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘কেউ যদি ভেবে থাকেন কথায় কথায় ডিএম-এসপি বদলে যাবে, সেটা হচ্ছে না। এই ডিএম-এসপির সঙ্গেই কাজ করতে হবে।’’ তাঁদের কাজেরও প্রশংসা করেন মমতা।

এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রাধিকার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘ডিএমের হাজব্যান্ডও ডিএম, এটা মাথায় রাখবেন। আমার আট জন মহিলা ডিএম আছেন। তাঁদের জন্য আমার গর্ব হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে যদি কূটকচালি কর, আমি কিন্তু ভেঙে দেব সব।’’

এর পরই সরাসরি সভাধিপতির উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমাকে বলেছি টিম চালাতে, সেই কাজ তুমি করবে। তোমার কাজ অন্য কেউ করবে না। তুমি শিবাজির (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়) কথায় চলবে না। ডিএমকে কনফিডেন্সে নিয়ে সব কাজ করবে।’’ এর পরই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এর থেকে বেশি কিছু আর বললাম না। হাটে হাঁড়িটা ভাঙলাম না।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ