কলকাতা বিনোদন, সংস্কৃতি ও সাহিত্য 

Congress : পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের শাখা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ অধ্যাপক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : ১৮ই মে ২০২২ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মদিন পালন করলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস, বিধান ভবনের পশ্চিমবঙ্গ অধ্যাপক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি হাজরা রোডের সুজাতা সদন মঞ্চে সাংসদ, প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচাৰ্য মহাশয়ের অনুপ্রেরণায়। বিকাল ৫ টায় পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচাৰ্য, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দেবারতি সোম, বিশিষ্ট চিত্র সাংবাদিক সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন প্রশংসিত তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্বলন ও দেবারতি সোমের কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত ও রবীন্দ্র প্রতিকৃতি তে পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে। পরে প্রদেশ কংগ্রেস মহিলা ইউনিট এর সম্পাদিকা কৃষ্ণা দেবনাথ আবৃত্তি পরিবেশন করেন গুরুদেব রবীন্দ্র নাথের সবলা। এরপর উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ অধ্যাপক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সহ বিশিষ্ট জনদের বরণ করে একটি নিজস্ব ইউ টিউব চ্যানেল এর উদ্বোধন করা হয়। মঞ্চে আহুত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে কংগ্রেস নেতা কামারুজ্জামান কামারও উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য এর শিক্ষা জগতে অবদান উল্লেখ করেন তাঁর সহধর্মিনী শিক্ষাবিদ অশ্রুকণা ভট্টাচার্য।

Advertisement

কৃষ্ণা দেবনাথ, বাবলু নন্দী,নীল প্রমুখদের বরণ এর পরে অতিথিদের বক্তব্যের মধ্যে গুরুদেবকে স্মরণ করা হয়। অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য নোবেল পুরস্কার হারিয়ে যাওয়া ও বর্তমানে বিশ্বভারতীর পরিবেশ নষ্ট হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দেবারতি সোম বর্তমান প্রজন্ম রবীন্দ্র গান বেসুরো গাওয়া র জন্য দুশ্চিন্তা তুলে ধরেন। সাংবাদিক তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় অঞ্জনা ফাউন্ডেশন এর এই অনুষ্ঠান আয়োজন এর উদ্যোগের ভুয়সী প্রসংসা করেন। এরপর হাওড়া, হুগলী, কলকাতার শিল্পীরা নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

পুরো অনুষ্ঠান-এর আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, গোপা সেনগুপ্ত সকলের উপস্থিতিকে প্রশংসায় সম্মানিত করেন। আজকের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আকাশবাণী, দুরদর্শন সঞ্চালিকা ও প্রদেশ কংগ্রেস শিক্ষা সেল-এর সদস্য অদিতি চট্টোপাধ্যায় এর অনবদ্য মঞ্চ পরিচালনা। অঞ্জনা ফাউন্ডেশন এর পক্ষে রীতা সেন এর আন্তরিকতা চোখে পড়ার মতো। পরিশেষে জাতীয় সংগীত সমবেত সবাই গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ