কলকাতা 

Suspend : সাসপেন্ড জট কাটাতে শীর্ষ আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীরা ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গত বছর মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পীকারের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বিজেপি বিধাযকরা । তাতে সুপ্রিম কোর্ট ওই বিধায়কদের উপর সাসপেনসন বাতিল করে দেয় । এই রায়কে হাতিয়ার করে এবার রাজ্য বিজেপির সাসপেন্ড বিধায়করা আদালতে যেতে পারেন বলে জানা গেছে ।  বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ এবং আলাপ-আলোচনা চলছে।

বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে শাসক ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের মধ্যে মারামারির ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে। তারও আগে থেকেই সাসপেনশনে রয়েছেন বিরোধীদলের আরও দুই বিধায়ক। সংসদীয় তথা পরিষদীয় প্রথা মেনে সাসপেনশন চলাকালীন বিধানসভার ভিতরের অলিন্দ বা তাঁর নিজের ঘরেও বিরোধী দলনেতা ঢুকতে পারবেন না বলে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ভাতাও বিরোধী দলনেতা বা সাসপেনশনে-থাকা কোনও বিধায়ক পাবেন না।

Advertisement

বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। এক্ষেত্রে তাদের ‘হাতিয়ার’ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে। ‘অসংসদীয়’ আচরণের অভিযোগে তাঁদের এক বছরের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শাস্তিপ্রাপ্ত বিধায়করা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সাসপেনশন বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে বিচারপতি এ এম খান উলকর, বিচারপতির দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি সিটি রবিকুমার ওই রায় দেন।

সেই রায়কে ‘হাতিয়ার’ করেই বিজেপি পরিষদীয় দল আদালতে আবেদন জানাতে পারে বলে সূত্রের দাবি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ছাড়াও এই অধিবেশন থেকে ‘অসংসদীয় আচরণ’-এর জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাত ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনকে।

বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রবীণ সদস্য নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে রাখা যায় না। কারণ, তাঁরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় মানুষের কথা বলতে এসেছেন। তাই বিধায়কদের অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করব। সেই লড়াই করতে যতদূর পর্যন্ত যেতে হয়, বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে আমরা ততদূর পর্যন্ত যাব।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ