জেলা 

Murder : যৌননিগ্রহের শিকার সৎ মেয়ে! সহ্য করতে না পেরে নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নিজের স্বামী মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালাতো দুমাস ধরে । পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে,কিন্তু তাতে নিরস্ত করা যায়নি সৎ বাবাকে। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুলতানা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাতে।যদিও প্রথমে তাঁরা অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে সাজাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে পুলিশের জেরার মুখে দু’জনেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। পুলিশি সূত্রে খবর, মুখোমুখি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে অপরাধের কথা স্বীকার করেননি মা ও মেয়ে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের।

পুলিশ জানিয়েছে, গত দু’মাস ধরে সৎ মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। নিজের মেয়ের উপর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়েই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। পরিকল্পনায় সঙ্গী করেন তাঁর অত্যাচারিত কন্যাকেও। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

হাওড়ার ডোমজুড়ের এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম শেখ সালাম। সালামের বয়স ৫৫। ডোমজুড় পুলিশ জানিয়েছে, সালামকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুলতানা বেগম এবং তাঁর নাবালিকা সৎ মেয়ে। পুলিশ দু’জনকেই ডোমজুড় থানায় আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দু’জনেই খুনের কথা স্বীকার করায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

ডোমজুড়ের পার্বতীপুরের বাসিন্দা সালাম একটি সোনার দোকানের মালিক। ডোমজুড়েই দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং সৎ মেয়ের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। সুলতানার অভিযোগ, ‘‘মেয়ের উপর যৌন নিগ্রহ করছিল স্বামী। গত দু’মাস ধরে এটা চলছিল। শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রাখতে পারিনি। আমি এবং আমার মেয়ে ওকে গলা টিপে খুন করেছি।’’

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ