কলকাতা 

নিজেকে সর্বদা পজিটিভ রাখো, মানুষের অসুবিধের দিকে তাকাও, বুঝবে আমি কত ভালো আছি। মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বলছিলেন বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ শুভময় মৈত্র

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নায়ীমুল হকের প্রতিবেদন: মাধ্যমিকের পর আরো দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগোতে হবে কীভাবে বলতে গিয়ে তরুণ প্রজন্মের সামনে উপরের কথাগুলো বলছিলেন বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ অধ্যাপক শুভময় মিত্র। অনুসন্ধান কলকাতার উদ্যোগে সোমবার সান্ধ্যকালীন অনলাইনের এক আলাপচারিতায়। প্রসঙ্গক্রমে ইউক্রেনের মতো বড় একটি দেশের বর্তমান ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন সেখানকার সাধারণ মানুষের আজ যে অবস্থা তার তুলনায় আমরা তো অনেক ভালো আছি। নিজের এই ভালো থাকা অনুভবকে কাজে লাগিয়ে সব সময় এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা যারা করে, তারাই জীবন যুদ্ধে জয়লাভ করে। মাধ্যমিকের পর তোমরা ছড়িয়ে যাবে পড়াশোনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কথা বলতে গিয়ে বলেন নিট জয়েন্ট এন্ট্রান্স, ক্লাট -এর মতো পরীক্ষা দিন দিন শক্ত হচ্ছে। সেখানে তো হারানোর কিছু নেই, তাই, সেটার উপর বেশি আশা না করে, প্রস্তুত করো নিজেকে একশো শতাংশ, চান্স পেয়ে গেলে অনেক ভালো লাগার অনুভূতি পাবে। অনেক সময় দেখা যায় নামি দামি কলেজে ভর্তি না হতে পারলে কেউ কেউ প্রচন্ড গ্লানির মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু ব্যাপারটা একদমই তা নয় বরং যেখানেই পড়াশোনা করো পরিশ্রমী তোমায় হতেই হবে। দুনিয়ার কোনো মানুষ শীর্ষে অবস্থান করতে পারেন না, যদি সেখানে দিনরাত এক করে নিজেকে আপডেট না রাখেন। তিনি বলেন অনেকের ছোট থেকেই ঝোঁক থাকে নানান হাতের কাজের দিকে অথবা ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে।এটাও খুব পজিটিভ ব্যাপার। যার যেখানে প্যাশন এবং দক্ষতা, সেদিকেই যত্নসহকারে এগোতে পারলে নিজেদের উন্নতি হয় এবং সমাজও সেখান থেকে অনেক কিছু পেতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এদিনের আয়োজনকে অধ্যাপক মৈত্র খুবই কার্যকর বলে জানান। পরবর্তীতে তাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অঙ্কের ক্লাস দিলেও তিনি খুশি মনে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি জানান।

  আলাপচারিতায় মুখ্য বক্তা শুভময় মৈত্র

Advertisement

মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা এবং নানা দিকের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অনুসন্ধান কলকাতার এদিনের অনলাইন আলাপচারিতায় ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কৃষি বিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পড়াশোনার গতি প্রকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও আলোচনা হয় প্রথাগত পড়াশুনোর বাইরের নানান দিক নিয়ে। যেকোনো পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার থেকেও নিজেকে দক্ষ করে তোলা যে গুরুত্বপূর্ণ এবং আগামী দিনে সেটাই হবে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পাওয়ার মূল চাবিকাঠি, সে বিষয়ে বারবার আলোকপাত করেন সম্মানিত আলোচকবৃন্দ।

 বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সেখ জসিম উদ্দিন মন্ডল

ছাত্রছাত্রীসহ উপস্থিত অভিভাবক অভিভাবিকাদের জন্য অনুসন্ধান কলকাতার পক্ষ থেকে এদিনের অনলাইন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট প্রশাসক অমলেন্দু বসু, বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা দীপশ্রী দাস সরকার, বিশিষ্ট উদ্যোগপতি জসিম উদ্দিন মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত ভট্টাচার্য, শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা শীল, শিক্ষক নায়ীমুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক সাহাবুল ইসলাম গাজী এবং গৌরাঙ্গ সরখেল।

      বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা দীপশ্রী দাস

ভাবগম্ভীর আলোচনার পাশাপাশি আফনান, কৃত্তিজিৎ, আর্যাদের মতো ছোটদের সঙ্গে বড়দের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনেকের মন কেড়ে নেয়।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ