কলকাতা 

English Teacher: নিজেদের পকেট থেকে বকেয়া বেতন মেটান শিক্ষিকার, ২ শিক্ষককে নির্দেশ হাইকোর্টের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার করে  এক শিক্ষিকাকে ১৩ মাস চাকরিতে যোগ না দিতে দেওয়ার কারণে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট । ইংরেজির ওই শিক্ষিকাকে অবিলম্বে সহকারী শিক্ষিকার পদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর করার পাশাপাশি ১৩ মাসের বেতন প্রধান শিক্ষক ও টিচার ইনচার্জকে ভাগাভাগি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।

প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের টুটিকাটা হারমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলে চাকরি করতেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা সংযুক্তা। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) করোনেশন স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর নাম সুপারিশ করে। সেই মতো ওই নিয়োগে অনুমতি দেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। কিন্তু বাধ সাধেন করোনেশন স্কুলের তৎকালীন টিচার ইনচার্জ স্বপন চক্রবর্তী এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যে এক জন শিক্ষক ওই বিষয়ে কর্মরত রয়েছেন। অবশেষে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। আদালতে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন শিক্ষকদ্বয়। ১৩ মাসের বেতন বাবদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে ওই শিক্ষিকার।

Advertisement

শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং তৎকালীন টিচার ইনচার্জকে বলেন, ‘‘অবিলম্বের নিজেদের পকেট থেকে শিক্ষিকার বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। সরকার অর্থ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য খরচ করবে। কিন্তু এই সবে জন্য নয়।’’ আদালত প্রকান্তরে জানিয়ে দিয়েছে, কারও ব্যক্তিগত ভুলের দায় কেন সরকার নেবে। শিক্ষিকার মোট বেতনের অর্থ ভাগাভাগি করে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

আদালতের এই নির্দেশ আগামী দিনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে । শিক্ষক মহল এর প্রভাব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন আধিকারিকের উপরে পড়বে বলে ওয়াকিবহাল মনে করছে । এটা একটি ঐতিহাসিক রায় ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ