Anis Khan:‘‘আমার স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে, সিবিআই তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে, আসল দোষী করা তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে”আনিস হত্যাকাণ্ডে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী এবার সিবিআই চাইলেন! আরো চাপে পড়ে গেল মমতার প্রশাসন
বাংলার জনরব ডেস্ক : ছাত্রনেতা আনিস খুনের ঘটনায় দুই পুলিশকর্মীর গ্রেপ্তারি নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি মনোজ মালবিয়া আজ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন আনিস খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রাথমিকভাবে সন্দেহে দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা অন্যজন হলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য।
ডিজিপির এই ঘোষণার পরপরই হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন উপরতলাকে বাঁচাতে তার স্বামীকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই দিয়ে তদন্ত করার দাবি করলেন ধৃত কাশীনাথের স্ত্রী। অন্যদিকে গ্রেপ্তারের পর আনিসের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা একমাত্র সিবিআই তদন্তের উপরই ভরসা করে, রাজ্য পুলিশের তদন্তের উপর কোন ভরসা করছেন না। আনিসের বাবা সালেম খানের কথাতেও এর আগে উঠে এসেছে সিবিআই তদন্তের দাবি।

এ বার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুললেন ওই কাণ্ডে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথের স্ত্রী রাখি। স্বামীর গ্রেফতারের খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। সিবিআই তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। আসল দোষী করা তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
রাখির দাবি, পুলিশের উঁচুতলার কর্তাদের নির্দেশ ছাড়া তাঁর স্বামীর মতো নিচুতলার কর্মীরা তল্লাশিতে যেতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘এটা খুনের ঘটনা কি না তা-ও দেখা হোক। সত্য সামনে আসুক।’’ বছর চারেক আগে চাকরি পেয়ে হাওড়া পানিয়ারার পুলিশ লাইনে যোগ দিয়েছিলেন কাশীনাথ। সাড়ে তিন বছর সেখানে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর পর আমতা থানায় হোমগার্ড হিসেবে যোগ দেন মাস দেড়েক আগে।
আনিস-কাণ্ডে অন্য অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম বছরখানেক ধরে কাজ করছেন আমতা থানায়। ঘটনার পর থেকেই তাঁর বাড়ি তালাবন্ধ।
ধৃত কাশীনাথ বেরার স্ত্রীর এই বিবৃতির পর বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কলকাতা হাইকোর্টে আনিস খানের মৃত্যু মামলা চলছে রাখির আর এই মন্তব্যকে ঘিরে সেই মামলায় আরো বেশি জোরদার সওয়াল করতে পারবেন আনিসের আইনজীবীরা বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তথ্যসূত্র ডিজিটাল আনন্দবাজার।