দেশ 

Resign Vijay Rupani : ২০২২ – র গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিলেন বিজয় রুপানি, কেন পদত্যাগ ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক মুখেই পদত্যাগ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেল। গুজরাটের পতিদার সম্প্রদায়ের তিনি নেত্রী ছিলেন। তাকে সরিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ – র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিজয় রুপানিকে।

আর ২০২২ এর বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিজয়ী রূপানিকে পদত্যাগ করতে বলা হলো। তিনি আজ শনিবার হঠাৎ সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। গুজরাটের রাজনীতিতে নয়া চমক দিলেন নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদির পর কোন মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের বেশি সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না?

Advertisement

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলার জনরব জানতে পেরেছে গুজরাটে এবারের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপিকে নিশ্চিতভাবে জিততে হল পাতিদার সম্প্রদায়ের ভোটকে আদায় করতেই হবে।

সেই পাতিদার নেতা কে ?  তিনি হলেন নীতিন প্যাটেল যিনি বর্তমানে গুজরাটের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল আছেন। বিজেপি সূত্রে খবর নীতিন প্যাটেলকে মুখ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন লড়তে চলেছেন নরেন্দ্র মোদিরা। সেই জন্যই আজ হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।

তিনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন,”দল আমাকে যা দায়িত্ব দিয়েছে অনুগত সৈনিক হিসাবে আমি তা পালন করেছি। আমি গুজরাটের (Gujarat) জনতাকে ধন্যবাদ জানাতে চায় গুজরাটে গত পাঁচ বছরে যে নির্বাচন বা উপনির্বাচন হয়েছে, সবকিছুতেই আমাদের জেতানোর জন্য। আমি এবার সংগঠনের দায়িত্ব সামলাব।”

আনন্দীবেন প্যাটেলের ইস্তফার পর ২০১৬ সালে বিজয় রুপানি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত দু’মাসে তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পালটে ফেলল বিজেপি। কর্ণাটক (Karnataka) এবং উত্তরাখণ্ডের পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির পদত্যাগের পর প্রশ্ন উঠেছে এবার কি তাহলে গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাবেন পতিদার সম্প্রদায়ের নেতা নীতিন প্যাটেল?  মনে রাখতে হবে গুজরাটে প্যাটেল সম্প্রদায়ের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নরেন্দ্র মোদী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ