মুখ্যমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত’ কথা প্রকাশ্যে এনে রাজ্যপাল সঠিক কাজ করেননি বলে মনে করছে শাসক দল
বাংলার জনরব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের কাছে খানিকটা দুঃখ প্রকাশ করেই একান্তে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি যাবেন না , এবং রাজ্য প্রশাসনের কোনো আধিকারিক যোগ দেবেন না এই কথাটি গতকাল রাতে রাজ্যপাল টুইট করে প্রকাশ্যে আনেন । এটা নিঃসন্দেহে ছিল সৌজন্যমূলক এবং ব্যক্তিগত কথাবার্তা সেই ব্যক্তিগত কথা বার্তাকে প্রকাশ্যে এনে রাজ্যপাল সঠিক কাজ করেননি বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন ।
রাজ্যপালের ওই টুইটের খবর, সোমবার মধ্যরাতেই দিয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। তার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রাতেই ওই বিষয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়। অতঃপর মঙ্গলবার সকাল থেকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে আর্জি জানাতে থাকে, রাজভবনের সঙ্গে এই ধরনের ‘বার্তা বিনিময়’ বন্ধ করে দেওয়া হোক। দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘সমস্ত পর্যায়ের রাজনীতিতেই এই ধরনের বার্তা বিনিময় চালু থাকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব সৌজন্যবোধ থেকে রাজ্যপালকে বার্তা পাঠিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল সেটা জনসমক্ষে এনে ঠিক করেননি। এটা কিন্তু রাজ্যপাল সুলভ কাজ নয়। যিনি নিজেকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে অহরহ দাবি করেন, তিনি এমন আচরণ করলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! এর পরে রাজভবনের সঙ্গে এমন যোগাযোগ রাখা যাবে কি না, সেটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’’
তার আগেই রাজ্যপালের ওই টুইট সামগ্রিক ভাবে তৃণমূল শিবিরকে কুপিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনিও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেননি। তবে শেষ পর্যন্ত ধনখড়ের এই আচরণ রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কে কোনও ছায়াপাত করে কি না, তা দেখার। প্রাথমিক ভাবে দলের নেতাদের একাংশ চাইছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে ‘একান্ত আনুষ্ঠানিক এবং সংবিধান সম্মত’ ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্কই যেন না রাখা হয়। তা শেষ পর্যন্ত হবে কি না, সেটি নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী উপরেই। কিন্তু এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, রাজভবন-নবান্ন সঙ্ঘাত এর ফলে আরও উচ্চগ্রামে পৌঁছল। সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার।