কলকাতা 

“পরিচ্ছন্ন বাংলা-পরিচ্ছন্ন রাজনীতি”-‘কেবল রাজনৈতিক পালাবদল কি সব সমস্যার সমাধান ?’ : পদ্মশ্রী কাজী মাসুম আখতার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  কলকাতা প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী যুব পরিষদের উদ্যোগে “পরিচ্ছন্ন বাংলা-পরিচ্ছন্ন রাজনীতি”-র দাবিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় ।  বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পদ্মশ্রী মাসুম আখতার এই সভায় বলেন , রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নের,দুষ্টচক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে,এই সমাজ বা রাজ্যকে কি আমরা কখনও পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবো ? কেবল রাজনৈতিক পালাবদল কি সব সমস্যার সমাধান ? রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে “ঝোঁপ বুঝে কোপ”মেরে, দুর্বৃত্ত,দুষ্ট,নিপাট ধান্দাবাজদের নির্লজ্জভাবে জার্সি বদল করে পাল্টি খাওয়াকে শিল্পে পরিণত করে, নতুন শাসক দলের ত্রাতা বা মাথা হয়ে উঠতে কি আমরা দেখিনি ? তাহলে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানুষের জন্যে আমরা রাজনীতি করি–এই চরম মিথ্যাচারকে হাতিয়ার করে,রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ,মানুষের রক্ত, বা মর্যাদা নিয়ে হোলিখেলা আর কত দিন চলবে ? ক্ষমতায়নের মধুপান করতে সমাজকে উচ্ছন্নে দিয়ে রাজনীতির ব্যবসায়ীদের মানুষের মধ্যে ধর্ম,জাতপাত ভিত্তিক ভেদরেখা টানার অপকৌশল কবে বন্ধ হবে ? কবে বন্ধ হবে ধর্মীয় অন্ধত্ব,অপশক্তিকে তোষণ করার রাজনীতি ? ধর্মীয় শুঁড়শুড়ির সর্বনেশে স্বার্থ !
অসচেতন, সরল ,ধর্মপ্রাণ, ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে, তাদের ধর্ম, জাতিকে নিয়ে অতিপ্রেমের অঙ্গভঙ্গি করে ,ভোট লুট করার ষড়যন্ত্রকে আমরা কবে ধরিয়ে দেব ? কেন ভোটের নাম হবে মোল্লা ভোট বা মতুয়া ভোট ? কেন এহেন অসম্মানজনক ছিনিমিনি ? এই ছিনিমিনিই কি দেশপ্রেম বা মানবপ্রেম ? আমরা কি এখনও নীরব থাকবো ? সমাজের বিবেক সুশীল সমাজও নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে প্রতিটি শাসকদের কাছে এভাবেই বিকিয়ে যাবেন ? তাদের নির্লজ্জ জার্সি বদল আরও একটু পাওয়ার জন্যই নয় কি ? তাহলে এই বিশিষ্টগণও কি সমাজদ্রোহী, দেশদ্রোহী বা মানবতার কলঙ্ক নয় ? এই সকল রাজনীতির ব্যবসায়ীরা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়াকেও অর্থের বিনিময়ে কি প্রায় কিনে নেয় নি ?
তাই কি আসল খবর উপেক্ষা করে অর্থ দাতাদের তাবেদারি করাই মিডিয়ার বৃহৎ অংশের লক্ষ্য বা মোক্ষ ?এই সকল একাধিক প্রশ্নের উত্তর একাধিক মিডিয়ার সমাগমে আমরা খোঁজার চেষ্টা করলাম।নিলাম নিজেদের পরিশুদ্ধ রাখার শপথ ।নিজেদের সংগঠিত ও দায়বদ্ধ করার শপথ।” লংকায় গিয়ে রাবণ”হবে না-এমন আদর্শবাদী ত্যাগী, প্রকৃত দেশ ও মানব প্রেমী মানুষদের এই মুহূর্তে রাজনীতিতে যে বড়ই প্রয়োজন ! সব যে শেষ হয়ে যায় নি !এমন অনেক মানুষ ছড়িয়ে আছে সমাজের আনাচে-কানাচে!তারা ক্ষুদ্র পরিসরে নীরবে যুক্ত রয়েছেন একাধিক কল্যান কর্মে।
রাজনীতির স্বার্থাদ্বেষীরা কিন্তু এদের ভয় পায়।পাছে নিজেদের ব্যর্থতা ধরা পড়ে যায়।নিজেদের করে-কম্মে খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়!তাই দরকার আওয়াজ তোলার।এক্ষেত্রে নীরবতা অপরাধের নামান্তর।একদা বীর,প্রতিবাদী,আলোর যাত্রী বাঙ্গালীদের এখন কাপুরুষ বলা হয় গোটা দেশে ! কেন ? আলোচনায় আমার সঙ্গে ছিলেন অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র,লেখক পৃথ্বীরাজ সেন,অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ,অধ্যাপক দেবাশীষ চৌধুরী প্রমুখ একাধিক গুণীজন।জাতীয়তাবাদী যুব পরিষদের পক্ষে অনুষ্ঠানটির মুখ্য আয়োজক ছিলেন দীর্ঘদিনের সমাজ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বন্ধু দীপ্তিমান বসু। সঞ্চালনায় ছিলেন বন্ধু সাংবাদিক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

11 − seven =