নির্ভয়ার কান্ডে চার অভিযুক্তের ফাঁসি হল না কেন জানেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : নির্ভয়া কান্ডে চার অভিযুক্তের ফাঁসি আজ হল না । আদালতের নির্দেশ অনুসারে ৩ মার্চ চার অভিযুক্তের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল । কিন্ত তা আর হল না । কারণ হিসাবে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। তার জেরে নির্ভয়া মামলায় অপরাধীদের ফাঁসি ফের পিছিয়ে গেল। এই নিয়ে পরপর তিন বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেও ফাঁসি পিছোল।
মঙ্গলবার ফাঁসি হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা নিয়ে সোমবার টানটান উত্তেজনার সাক্ষী ছিল সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলাতে থাকে ছবি। দিনের শেষে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট ফাঁসি স্থগিত রেখেছে। কারণ, পবন গুপ্তের প্রাণভিক্ষার আবেদন এখন রাষ্ট্রপতির টেবিলে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা বলেন, ‘‘সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় অপরাধীর বুকে এমন ক্ষোভ থাকা উচিত নয় যে, দেশের আদালত তাকে সব রকম আইনি সুরাহার সুযোগ দেয়নি।’’
মঙ্গলবার ভোর ছ’টায় তিহাড় জেলে নির্ভয়া মামলার চার অপরাধী— মুকেশ সিংহ, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মার— ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছিল পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। কিন্তু রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করে অন্যতম অপরাধী পবন গুপ্ত। তার আর্জি ছিল, ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক। একই সঙ্গে পবন গুপ্ত ও অক্ষয় ঠাকুরের আইনজীবীরা ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পবনের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলারও শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী, ৮৮ বছরের এস পরমেশ্বর নাম্পুথিরি এই মামলা করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাতে কর্ণপাত করতে রাজি হয়নি। আশ্বস্ত হয়ে নির্ভয়ার বাবা-মা, বদ্রীনাথ ও আশাদেবী ছোটেন পাটিয়ালা হাউস কোর্টে।
ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার দাবির পিছনে অপরাধীদের আইনজীবীরা তিনটি যুক্তি দিয়েছিলেন। এক, অক্ষয় ঠাকুরের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিলেও দ্বিতীয় বার প্রাণভিক্ষার আবেদন জমা পড়েছে। দুই, পবনের কিউরেটিভ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। তিন, দিল্লি ভোটের আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ থাকার মধ্যে বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে।