দেশ 

কেমন আছেন কাশ্মীরের মানুষ ? বিবিসি-র সাংবাদিক গীতা পান্ডের চোখে দেখা কাশ্মীর সম্পর্কে জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর সব রকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার । কিন্ত সত্যিই কাশ্মীরের মানুষ শান্তিতে আছে ? কিংবা কাশ্মীরে যে শান্তিপূর্ণ ছবি তুলে ধরছে সরকার কিংবা রাজ্য প্রশাসন তার সঙ্গে অবশ্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরের তফাৎ দেখা দিয়েছে । ডিজিটাল আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে কাশ্মীরে ক্রোধের আগুন যেকোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে বলে বলা হয়েছে ।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদনে উঠে আসছে অন্য এক উপত্যকা, যেখানে ক্রোধের আগুন ছড়িয়ে রয়েছে ইতিউতি। বিবিসি-র সংবাদিকের অভিজ্ঞতার কথা ডিজিটাল আনন্দবাজারে তুলে ধরা হয়েছে । তা আমরা পাঠকের জন্য তুলে ধরলাম ।

Advertisement

দু’দিন ধরে উপত্যকা ঘুরে বিবিসি নিউজের সাংবাদিক গীতা পান্ডে নিজের অভিজ্ঞতায় এই প্রতিবেদন লিখেছেন।তাঁর লেখনীতে স্পষ্ট,উপত্যকায় রোষের আগুন ধিকধিক করে জ্বলছে। ওই সাংবাদিকের দাবি, দু’দিনের সফরে বহু মানুষের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। পদে পদে ব্যারিকেডে আটকানো হয়েছে তাঁকে। সেসব পেরিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যখন জিজ্ঞেস করেছেন কেমন আছেন, উত্তর এসেছে—‘‘সরকার আমাদের সঙ্গে নৃশংসতা করছে। দিন রাত চার দেওয়ালে আটকে থাকতে হচ্ছে।’’

সাংবাদিককে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। সাবধান করে বলা হয়েছে, কার্ফু চলছে। তিনি দেখেছেন কার্ফু ভয়ে যুবকেরা ঘরে ফিরে গেলেও, বন্দুকের দিকে পাল্টা তর্জনি উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অকুতোভয় বৃদ্ধ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

ততক্ষণে তাঁকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এলাকা ছাড়তে ছাড়তে সাংবাদিক দেখেছেন, বাচ্চা কোলে নিয়ে বিক্ষুব্ধ মধ্যবয়স্ক বলেছেন, ‘‘আমার বাচ্চা এখন ছোট, বড় হলে ওকে বন্দুক ধরতে শেখাব।’’

ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, কাশ্মীরের বহু মানুষ আর এই দমন পীড়নে বাঁচতেই আগ্রহী নন। দিল্লিতে থাকা রিজওয়ান মালিক নামে এক কাশ্মিরী নাগরিকের বয়ানও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। সেখানে রিজওয়ান জানাচ্ছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার তিনি পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার থেকেই পরিবারের লোকের কোনও খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি বিমানে চড়ে শ্রীনগরে পৌঁছন। তবে মেলেনি পরিবারে সঙ্গে দেখা করার ছাড়পত্র। অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পরে দিল্লি ফিরে যেতে বাধ্য হন ২৫ বছর বয়সি এই অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের শোপিয়ান উপত্যকা পরিদর্শনের ঘটনার নিন্দাও করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, এটি বিশ্বের দরবারে কাশ্মীরের স্বাভাবিকতা তুলে ধরার একটি অপচেষ্টা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

1 × 2 =