‘‘আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই! যা ঠিক, সচেতন ভাবেই সেটা বলছি এবং করছি’’ : স্ট্যালিন
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপি বিরোধিতা সুরকে আরও সপ্তমে তোলার জন্য ডিএমকে ও টিএমসি জোট করে জাতীয় রাজনীতি কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যদিও কাশ্মীর ইস্যুতে ডিএমকে বিরোধিতা করে তামিলনাড়ুতে জনসমর্থন আরও বেশি করতে পেরেছে । ডিএমকে-র এই ভূমিকায় ওই রাজ্যের সাধারন মানুষ সহ বুদ্ধিজীবীরাও খুশি । আর এতেই আগামী দিনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছেন স্ট্যালিনরা ।
তামিলনাড়ুতে ডিএমকে একাই জিতেছে ২৩টি আসন, কেরলে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ১৯টি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই রাজ্যে এই দুই শক্তিরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলকে এক অক্ষে বেঁধে এগোতে চাইছে ডিএমকে। তাতে আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। চেন্নাইয়ে এম করুণানিধির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেই বিরোধী অক্ষেরই মহড়া সেরে বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরে গেলেন তৃণমূল নেত্রী। স্ট্যালিন-মমতা আলোচনায় ঠিক হয়েছে, বিজেপি-বিরোধিতার পথ তাঁরা কথা বলেই ঠিক করবেন।
মমতার বক্তব্য, ‘‘এক একটা রাজ্যের এক এক রকম বৈশিষ্ট্য। আমরা ভারতীয় সবাই। কিন্তু নিজেদের রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা করার লড়াইও আমাদের করতে হবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে ডিএমকে-র সঙ্গেই তিনি আছেন। ডিএমকে-র চেয়ারম্যান বীরমণি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘বাংলায় বিজেপি-আরএসএস বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে আক্রমণ করেছে। আমরা এখনও পেরিয়ারের গায়ে হাত দিতে দিইনি!’’
কেন্দ্রের কাশ্মীর-সিদ্ধান্তের পদ্ধতিগত দিক নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মমতা। ডিএমকে এবং সিপিএম কেন্দ্রের গোটা সিদ্ধান্তেরই বিরোধিতা করেছে। তাদের ওই অবস্থানকে বাহবা দিচ্ছেন দক্ষিণী বিশিষ্ট জনেরা। বিরোধী ভূমিকায় তাতে আরও উৎসাহ বেড়েছে ডিএমকে-র। স্ট্যালিনের কথায়, ‘‘আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই! যা ঠিক, সচেতন ভাবেই সেটা বলছি এবং করছি।’’