অপর্ণা-কৌশিক সেনদের খোলা চিঠিকে সমর্থন জানালেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু
বাংলার জনরব ডেস্ক : রামের নামে রণহুঙ্কার বন্ধ করা এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে দলিত –সংখ্যালঘুদের গণপিটুনি অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বুদ্ধিজীবীরা চিঠি লিখেছেন । দেশের ৪৯ জন প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীদের এই চিঠিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় হয়ে উঠেছে । পাল্টা ৬১ জন মোদী ভক্ত বুদ্ধিজীবী চিঠি দিয়ে ওই সব বিদ্বজনদের ‘ স্বঘোষিত অভিভাবক‘ বলে কটাক্ষ করেছেন । এই প্রেক্ষাপটে অপর্ণা , কৌশিক সেনদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে গণপিটুনি কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেছেন , ‘বিদ্বজ্জনেরা যে বিষয় নিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে, তা সমর্থন করি। এবং আশা রাখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে নিশ্চয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
বুধবার অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। ওই এই চিঠিতে সই রয়েছে মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণণ, বিনায়ক সেন সহ আরও অনেকেই৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায় প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা ।
চিঠিতে নিজেদের ”শান্তিপ্রিয় ও গর্বিত ভারতবাসী” হিসেবে পরিচিতি দিয়ে বিদ্বজনেরা লিখেছেন, ”প্রিয় প্রধানমন্ত্রী… মুসলিম, দলিত ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনাবলী এই মুহূর্তে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এনসিআরবি (ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো)–র রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পেরেছি ২০১৬ সালে ৮৪০ জন দলিতের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এবং একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে শাস্তির অনুপাত। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ধর্মকে কেন্দ্র করে ঘৃণাবশত আক্রমণের ২৫৪টি ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ৫৭৯।”
এই চিঠি পাঠানোর পরই নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনের দাবি, বুধবার রাতে তাঁকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি৷ কৌশিক সেনের বিষয়টি নিয়েও চন্দ্র বসু রীতিমতো সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই প্রতিবাদের সঙ্গে কোনও ধার্মিক দৃষ্টিকোণ লুকিয়ে নেই। অপরদিকে যারা গণপিটুনি দিচ্ছে, তাঁরাও ধর্ম সম্মান জানিয়ে এমনটা করছে, তা ভাবলে ভুল ভাবা হবে।’