কলকাতা 

আমি এখনও বিশ্বাস করি, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। মানুষ ওদের বিশ্বাস করবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যালোচনা বৈঠক । এই বৈঠকে সমস্ত জেলার সভাপতি , পর্যবেক্ষক , বিজয়ী প্রার্থী ও পরাজিত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন । উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই টুইট করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করে তবেই যা বলার বলবেন। শনিবার সেই বৈঠকে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতেও ডাকা হয়েছিল সব জেলার দলীয় সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকদের। ছিলেন জোড়াফুলে জেতা ২২ সাংসদের পাশাপাশি পরাজিত প্রার্থীরাও।

কেন রাজ্যে বিজেপির এই ফল এবং কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা হেরে গেল তা নিয়ে এই বৈঠকে গভীরভাবে আলোচনা হয় । আলোচনার পর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের ।

Advertisement

সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী বলেছেন তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল :-

  • মানুষের কাজ একটু বেশি করে ফেলেছিলাম মনে হচ্ছে। সবাই দু’টাকা করে চাল পেয়েছে, চিকিৎসায় টাকা দিতে হচ্ছে না। লোডশেডিং নেই। চাষের জল তোলা যাচ্ছে। সরকারি কাজ আমি বেশি করে ফেলেছি। এখন থেকে দলকে বেশিসময় দেব। রেলমন্ত্রক ছাড়তে আমার এক মিনিট লেগেছিল। চেয়ার আমার কাছে কিস্যু নয়। আমার চেয়ারকে প্রয়োজন নেই। চেয়ারের আমাকে প্রয়োজন।
  • সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে।
  • ইউনাইটেড ইন্ডিয়া নিয়ে কংগ্রেসের তরফে উদ্যোগের অভাব ছিল। আমি তো ওদের সাহায্যই করতে চেয়েছিলাম।
  • যাঁকে দিয়ে অন্যায়ের তদন্ত করাবো, তাঁকেই সরিয়ে নিজের লোক বসিয়ে দিয়েছিল।
  • আমরা আসার আগে রাজনৈতিক হিংসায় এক নম্বরে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। এখন তানয়। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করা হচ্ছে।
  • তৃণমূলের যাঁরা বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছি।
  • প্রশাসনের দখল নিতে এতক্ষুধার্ত কেন বিজেপি?
  • সংবাদ মাধ্যমও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। আমি এখনও বিশ্বাস করি, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। মানুষ ওদের বিশ্বাস করবে না। আমি ভবিষ্যৎবাণী করছি । কিন্তু মানুষের ওদের আসলটা বুঝতে একটু সময় লাগবে।
  • নির্বাচন কমিশনই এই নির্বাচনের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। ‘ওপেন গেম’ খেলেছে ওরা।
  • গণতন্ত্র টাকার কাছে বিকিয়ে গেলে সেই গণতন্ত্র বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এ রকম আগে কখনও হয়নি।
  • উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে।মুর্শিদাবাদ, জঙ্গলমহল, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। বর্ধমান পূর্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে।
  • মালদহ জেলার তৃণমূল সভাপতি করা হল মৌসম নুরকে।
  • আমি ইফতারে যাচ্ছি। একশো বার যাব। যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া ভাল।
  • তৃণমূলের ২০০ পার্টি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে। ধরে ধরে মুসলিমদের মারা হয়েছে। সব পার্টি অফিস ফেরত নিতে টার্গেট দিয়ে দিয়েছি।
  • কোথাও লড়াই করেনি সিপিএম। পুরো ভোট বিজেপিকে দিয়ে দিয়েছে।
  • উন্নয়নের কোনও দাম নেই। পুলিশকে টাকা দিয়েছে বিজেপি, সিপিএমকে টাকা দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলেরঅনেককেও টাকা দিয়েছে বিজেপি।
  • আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম। শুধু দলের প্রধান হিসেবে কাজচালাববলেছিলাম, কিন্তু দল মানল না।
  • ৩ মাস ধরে ভোট, ৫ মাস ধরে কাজ করা যাচ্ছে না।
  • বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। সংবাদ মাধ্যম, নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতদুষ্ট।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

6 + 9 =